সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ এবং জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত একটি অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গঠিত কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কক্সবাজার সদর এবং টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সদস্য সচিব থাকবেন কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন:
কমিটির কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে:
(১) ট্রাভেল পাস নিশ্চিতকরণ: বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের অ্যাপের মাধ্যমে প্রাপ্ত ট্রাভেল পাস ছাড়া পর্যটকদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ।
(২) পলিথিন ও প্লাস্টিক নিষিদ্ধ: নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পরিবহন প্রতিরোধ।
(৩) পর্যটক রেজিস্ট্রেশন: পর্যটকদের অবস্থান ও তথ্য নিবন্ধন নিশ্চিতকরণ।
(৪) নির্দেশনা প্রদর্শন: জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট এবং সেন্টমার্টিনে নির্দেশিকা সংবলিত বিলবোর্ড স্থাপন।
(৫) সমন্বয় ও যোগাযোগ: কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের নেতৃত্বে সমন্বয় কার্যক্রম পরিচালনা।
গত ২২ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ের সভায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে:
এই সিদ্ধান্তগুলো দ্বীপের বাসিন্দা এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে। হোটেল-মোটেল মালিক, রেঁস্তোরা, এবং ট্যুর অপারেটরদের পক্ষ থেকে ধারাবাহিক আন্দোলন চলছে।
নভেম্বরের শেষ প্রান্তেও সেন্টমার্টিনে পর্যটন মৌসুম শুরু হয়নি। পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল অনিশ্চিত। দ্বীপবাসীর যাতায়াতও প্রশাসনিক অনুমতির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা কাঠের ট্রলার বা স্পিডবোট ব্যবহার করলেও তা কঠোর নিয়ন্ত্রণের আওতায়।
নতুন এই কমিটির কার্যক্রমের মাধ্যমে সেন্টমার্টিনের পরিবেশ রক্ষা ও পর্যটন নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ কতটা মোকাবিলা করা যায়, তা সময়ই বলে দেবে।