ভারতে নতুন ফৌজদারি আইন
প্রকাশকালঃ
০১ জুলাই ২০২৪ ০৮:৩২ অপরাহ্ণ
২৯৫ বার পঠিত
ঢাকা প্রেস
অনলাইন ডেস্ক
২০২৪ সালের ১ জুলাই ভারতে ব্রিটিশ আমলের ১৯৫ বছরের পুরনো ফৌজদারি আইন প্রতিস্থাপন করে তিনটি নতুন আইন কার্যকর করা হয়েছে। নতুন আইনগুলো হল:
- ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস)
- ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা (বিএনএসএস)
- ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম (বিএসএ)
এই আইনগুলো ভারতীয় দণ্ডবিধি, ফৌজদারি দণ্ডবিধি এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইনের পরিবর্তে এসেছে।
নতুন আইনের প্রধান বৈশিষ্ট্য:
- নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধ: নতুন আইনে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। যেমন, কিশোরীদের গণধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
- দ্রুত বিচার ব্যবস্থা: নতুন আইনের লক্ষ্য দ্রুত বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। এর জন্য, ফৌজদারি মামলার রায় ৪৫ দিনের মধ্যে দিতে হবে এবং অভিযোগ গঠন করতে হবে ৬০ দিনের মধ্যে।
- জিরো এফআইআর: নতুন আইনে 'জিরো এফআইআর' নামে একটি নতুন ধারণা চালু করা হয়েছে। এর অর্থ হল যে, যেকোনো ব্যক্তি যেকোনো থানায় এফআইআর দায়ের করতে পারবেন।
- ইলেকট্রনিক পদ্ধতি: নতুন আইনে ইলেকট্রনিক পদ্ধতি ব্যবহারের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। যেমন, এখন ইলেকট্রনিকভাবে সমন পাঠানো যাবে এবং মামলার নথিপত্রের অনুলিপি অনলাইনে পাওয়া যাবে।
- পুলিশের ক্ষমতা বৃদ্ধি: নতুন আইনে পুলিশের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে, কোন মামলা বিচারযোগ্য হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত একজন বিচারকের ওপর ন্যস্ত ছিল। কিন্তু নতুন আইনে এখন সেই সিদ্ধান্ত নেবে পুলিশ।
আলোচনা:
নতুন ফৌজদারি আইন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। সমর্থকরা মনে করেন এই আইনগুলো ভারতের বিচার ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক এবং কার্যকর করবে। তারা বিশ্বাস করেন যে দ্রুত বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা এবং নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করা গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে, সমালোচকরা মনে করেন এই আইনগুলো পুলিশের ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে। তারা আরও উদ্বিগ্ন যে নতুন আইনগুলো দ্রুত বিচারের চেয়ে দ্রুত ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারবে না।
নতুন ফৌজদারি আইনগুলি ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনবে। এই পরিবর্তনগুলি ইতিবাচক হবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে।