চলতি বছর দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে: সালমান এফ রহমান
প্রকাশকালঃ
১৫ জুলাই ২০২৪ ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ ৫১২ বার পঠিত
গত বছর খারাপ অবস্থায় থাকলেও চলতি বছর দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। গতকাল রবিবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) আমেরিকা ডেস্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস।
আরো উপস্থিত ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের ইকোনোমিক অফিসার জেমস গার্ডিনার, ইক্যাব সভাপতি শমী কায়সারসহ বেসিসের সাবেক সভাপতিরা, বেসিস কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ও বেসিস সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, গত বছর খারাপ অবস্থায় থাকলেও চলতি বছর দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। তিনি বলেন, এক সময় ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়েও অনেক সমালোচনা হয়েছে। অথচ এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছি।
দেশের ক্রমবর্ধমান আইসিটি খাত সম্পর্কে সালমান এফ রহমান বলেন, দুটি সাবমেরিন ক্যাবলের পর-তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবলও যুক্ত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশে। এ ছাড়া আইসিটি খাতের উন্নয়নে প্রণোদনাসহ কর ছাড়ের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি ও সফটওয়্যার কম্পানিগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদারকরণ, ব্যবসা সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং ব্যবসায়কি সহযোগিতা জোরদার করতে বেসিস আমেরিকা ডেস্ক গঠন করেছে বেসিস।
সালমান এফ রহমান বলেন, বাংলাদেশি সফটওয়্যার এবং তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য এবং পরিষেবাগুলোর জন্য সব থেকে বড় রফতানি গন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যা মোট রফতানি আয়ের প্রায় ২৭ শতাংশ। এক্ষেত্রে বেসিস-আমেরিকা ডেস্ক দুই দেশের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। বেসিসের সহসভাপতি (প্রশাসন) সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, বেসিস আমেরিকা ডেস্কের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করা এবং প্রযুক্তি ও জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি বাড়ানো।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস বলেন, বেসিস আমেরিকা ডেস্ক আইসিটি খাতে বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সমন্বয়ের একটি মাইলফলক। বদ্ধ বাজার থেকে উন্মুক্ত বাজার বেশি ভালো। পোশাক ও সফটওয়্যার রফতানির এআই এর দক্ষ ব্যবহার করতে পারে বাংলাদেশ। তবে এ জন্য মানবসম্পদ উন্নয়ন, বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তবে পাশ্ববর্তী দেশের চেয়ে কমমূল্যে তাদের চেয়ে ভালো সেবা দিতে হবে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, এআই সল্যুশন দিয়ে তারা তাদের ব্যবসা বাড়াতে পারে। আমি আশা করি বেসিস-আমেরিকা ডেস্ক যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি বাজারকে আরো সমৃদ্ধ করবে। বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, বেসিস আমেরিকা ডেস্কের মাধ্যমে, আগামী ৫-৬ বছরে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের আইটি সেবা রপ্তানি বাড়ানোর মাধ্যমে এই খাত থেকে ৫ বিলিয়ন রপ্তানি আয় করা সম্ভব। এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে, বেসিস আমেরিকা ডেস্ক বাংলাদেশি কম্পানিগুলোকে মার্কিন বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে এক ভিডিও বার্তায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বেসিস আমেরিকা ডেস্কের যাত্রা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে শক্তিশালী করতে এবং বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করে, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান তাদের পারস্পরিক ব্যবসায়িক শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম হবে।