ধোনির পরামর্শ কাজে লাগিয়ে মুস্তাফিজ ভালো পারফর্মেন্স করছেন

প্রকাশকালঃ ২৭ মার্চ ২০২৪ ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ ১৯৮ বার পঠিত
ধোনির পরামর্শ কাজে লাগিয়ে মুস্তাফিজ ভালো পারফর্মেন্স করছেন

জাতীয় দলের হয়ে খুব ভালো পারফর্ম করতে পারছিলেন না  মুস্তাফুজির রহমান। তবে আইপিএলে খেলতে গিয়েই জ্বলে উঠেছেন দ্য ফিজ। চেন্নাইয়ের হয়ে ২ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৬ উইকেটধোনির পরামর্শ কাজে লাগিয়েই মুস্তাফিজ ভালো পারফর্মেন্স করছেন বলে মনে করেন ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কারের ছেলে রোহান গাভাস্কার।


চলতি আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই ৪ উইকেট পেয়েছিলেন মুস্তাফিজ। আর মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দ্বিতীয় ম্যাচেও একাদশে সুযোগ পেয়ে ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার। আইপিএলে মুস্তাফিজের দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের পেছনে নিজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ধোনির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছেন বলে মনে করেন  রোহান গাভাস্কার ।


তিনি বলেন, ‘এক হলো নিজের অভিজ্ঞতা, আরেকটা দলের অভিজ্ঞতা। সে ধোনির সাথে পরামর্শ করছে। ভাই, আমার মনে হয় এই পিচে এভাবে করলে ভালো। সাথে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছে। ব্যাপারটা গোপন না। এখানে বড় হাতিয়ার হলো চেন্নাইয়ের বোলিং ইউনিট।’

 

মঙ্গলবার গুজরাটের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাটিং করে ২০৬ রানের বিশাল পুঁজি পায় চেন্নাই। রাচিন রবীন্দ্র, শিবম দুবে, রুতুরাজদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সুবাদে ৬ উইকেটে ২০৬ রান তোলে চেন্নাই। দুই ওপেনার অধিনায়ক রুতুরাজ এবং রাচিন শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে খেলতে শুরু করেন। বেশি আগ্রাসী ছিলেন নিউ জ়িল্যান্ডের অলরাউন্ডার। তিনি ৪৬ রান করলেন ২০ বলে। মারলেন ৬টি চার এবং ৩টি ছয়। রুতুরাজও করলেন ৩৬ বলে ৪৬। তিনি খেললেন । তাঁর ব্যাট থেকে এল ৫টি চার এবং ১টি ছক্কা। রান পেলেন না অজিঙ্ক রাহানে ১২ বলে ১২ রান করলেন। পরে ব্যাট হাতে রান তোলার গতি বৃদ্ধি করলেন শিবম। তাঁর সঙ্গে জুটি গড়লেন ডারিল মিচেল। শিবমের ব্যাট থেকে এল ২৩ বলে ৫১ রানের ইনিংস। রশিদ খানের বলে আউট হওয়ার আগে মারলেন ২টি চার এবং পাঁচটি ছক্কা। মিচেল করলেন ২০ বলে ২৪। শেষ দিকে নেমে মানানসই ব্যাটিং করলেন সমীর রিজ়ভিও। ২টি ছক্কার সাহায্যে ৬ বলে ১৪ রান করলেন তিনি। রবীন্দ্র জাডেজা করলেন ৩ বলে ৭।


জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক শুভমনের (৮) উইকেট হারায় গুজরাত। ঋদ্ধিমান সাহাও (১৭ বলে ২১) বড় রান পেলেন না। সুদর্শন কিছুটা লড়াই করলেন। ৩১ বলে তাঁর ৩৭ রানের ইনিংসে রয়েছে ৩টি চার। ব্যর্থ গুজরাতের মিডল অর্ডারও। বিজয় শঙ্কর (১২ বলে ১২), ডেভিড মিলার (১৬ বলে ২১), আজমতুল্লা ওমরজ়াইরা (১০ বলে ১১), ধারাবাহিক ভাবে আউট হয়ে দলের ইনিংসকে চাপে ফেলে দিলেন। সেই চাপ সামলানো সহজ ছিল না। ১১৮ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর গুজরাতের জয়ের আর কোনও আশা ছিল না। পরে দিকের ব্যাটারেরাও উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারলেন না। রশিদ (১), রাহুল তেওটিয়াও (৬) রান পেলেন। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন উমেশ যাদব (১০) এবং স্পেনসার জনসন (৫)। ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রানে থামে গুজরাটের ইনিংস।


চেন্নাইয়ের বোলারদের মধ্যে সফলতম তুষার ২১ রানে ২ উইকেট নিলেন। ২৮ রানে ২ উইকেট চাহারের। ৩০ রান খরচ করে ২ উইকেট নিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১৮ রানে ১ উইকেট ডারিল মিচেলের। ২৯ রানে ১ উইকেট নিলেন মাথিশা পাতিরানা।
 দুই ম্যাচেই জয় নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠেছে চেন্নাই সুপার কিংস।