মওলানা ভাসানী সেতুর নিরাপত্তায় পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৩২ অপরাহ্ণ   |   ৪১ বার পঠিত
মওলানা ভাসানী সেতুর নিরাপত্তায় পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-

 


 

চিলমারী-সুন্দরগঞ্জের হরিপুর তিস্তা নদীর ওপর নির্মিত ‘মওলানা ভাসনী সেতু’ উদ্বোধনের ১২ দিন পর সেতু এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে প্রশাসনের উদ্যোগে অস্থায়ী একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
 

সম্প্রতি সেতু-সংলগ্ন এলাকায় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনার প্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
 

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল হাকিম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) থেকে সেতু প্রকল্প এলাকার দক্ষিণ প্রান্তে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অফিসে নতুন স্থাপিত ক্যাম্পে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছেন ১৬ জন পুলিশ সদস্য। এর মধ্যে ১ জন এসআই, ২ জন এএসআই ও ১৩ জন কনস্টবল রয়েছেন। তারা সেতু এলাকায় নিয়মিত টহল ও নজরদারি চালাচ্ছেন। যাতে কোনো ধরনের চুরি, ছিনতাই কিংবা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটতে না পারে।
 

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, সেতুটি একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এখানে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। ক্যাম্পে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং তারা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন।
 

এদিকে, সেতু ব্যবহারকারী স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, সম্প্রতি এলাকায় কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটায় আমরা আতঙ্কে ছিলাম। পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের পর সেতু এলাকায় এখন নিরাপত্তা পরিস্থিতি ভালো। বিশেষ করে রাতের বেলায় চলাচল অনেকটাই নিশ্চিন্ত হয়েছে।
 

উল্লেখ্য, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গত ২০ আগস্ট দুপুরে সেতুটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ এবং ৯ দশমিক ৬ মিটার প্রস্থের এই সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯২৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার (জিওবি), সৌদি ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট (এসএফডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ওফিড) অর্থায়নে এলজিইডির বাস্তবায়নে সেতুটি নির্মিত হয়েছে। সেতুতে মোট ৩১টি স্প্যান রয়েছে। সংযোগ সড়ক ও নদীশাসনসহ প্রকল্পে প্রায় ১৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।