‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ বিষয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী
প্রকাশকালঃ
১০ জুন ২০২৪ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ ৭৯ বার পঠিত
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া। কাম্য শিক্ষার্থী, পাসের হার, প্রাপ্যতা ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতার ভিত্তিতে বর্তমানে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অটোমেশনের মাধ্যমে এ কাজটি সম্পন্ন হচ্ছে।’ রবিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, ‘সারা দেশে এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) বিভাগ কর্তৃক সময়ে সময়ে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমপিওভুক্ত করা হয়। চলতি অর্থবছরের আর এক মাস বাকি আছে। এই স্বল্প সময়ে নতুন কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার পরিকল্পনা সরকারের নেই।’ বর্তমানে সারা দেশে ৪ হাজার ৬১৩টি এমপিওবিহীন (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে সংসদকে জানান মন্ত্রী।
সংসদ সদস্য মো. সিদ্দিকুর রহমান পটোয়ারীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষকদের অবসরভাতা ও কল্যাণভাতা প্রাপ্তিতে দেরির সমস্যা সমাধানে সরকার আন্তরিক। এ খাতে পর্যাপ্ত অর্থসংস্থান না থাকায় মূলত বেশি সময় লাগছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে অবসর-উত্তরকালে শিক্ষকরা প্রাপ্য অর্থ যেন দ্রুত পেতে পারেন, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী জানান, দেশের ২৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের (ভিসি) পদ শূন্য রয়েছে। ৩৫টিতে ট্রেজারার পদ শূন্য আছে। দেশে বর্তমানে ১১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমিত দেওয়া হয়েছে; যার মধ্যে ১০৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, সারা দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোয় অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো সুযোগ-সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করার পরিকল্পনা সরকারের আছে। তবে কওমি মাদ্রাসাগুলো মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের কারিকুলামে চলছে না। এ লক্ষ্যে সমন্বিত একটি নীতিমালা প্রণয়ন এবং কওমি মাদ্রাসা-সংক্রান্ত বর্তমানে পৃথক পৃথকভাবে পরিচালিত ছয়টি বোর্ডকে সমন্বিত করে একটি কওমি শিক্ষা বোর্ড গঠনের বিষয়টি সরকারের পর্যালোচনাধীন আছে।