প্রকাশকালঃ
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১২:০৮ অপরাহ্ণ ১৮০ বার পঠিত
বরগুনার আমতলীতে নরমাল স্যালাইন সরবরাহ বন্ধ থাকায় সংকট দেখা দিয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে ডেঙ্গুবাহীসহ অন্যান্য রোগীরা। ওষুধ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ চাহিদা বেশি হওয়ায় স্যালাইন উৎপাদনকারী কম্পানিগুলো সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। বিভিন্ন ওষুধ কম্পানির প্রতিনিধিরা জানান, হঠাৎ করে স্বাভাবিকের চেয়ে ২০ গুণ চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় স্যালাইন সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে।
জানা গেছে, জুলাই ও আগস্ট মাসে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুই শতাধিক ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়াও উপজেলার কয়েক হাজার রোগী ডেঙ্গুর লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালের বাহিরে বিভিন্ন চিকিৎসকদের প্রাইভেট চেম্বার, বেসরকারি ক্লিনিক থেকে চিকিৎসা পরামর্শ নিয়ে ও স্থানীয় ফার্মেসী থেকে ওষুধ কিনে বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গত এক মাস ধরে আমতলী উপজেলার ফার্মেসিগুলোতেও গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নরমাল স্যালাইন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীরা।
দ্রুত স্যালাইন সংকট দূর করা জন্য রোগী ও স্বজনরা দাবি জানান। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চাহিদা বেশি হওয়ায় উৎপাদনকারী বিভিন্ন ওষুধ কম্পানিগুলো স্যালাইন সরবরাহ বন্ধ রাখায় আমতলীতে স্যালাইনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। অপরদিকে উৎপাদনকারী ওষুধ কম্পানির স্থানীয় প্রতিনিধিরা জানান, হঠাৎ করে নরমাল স্যালাইনের চাহিদা ২০ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্যালাইন সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সরেজমিমেনে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বিভিন্ন ফার্মেসিতে গিয়ে জানা গেছে, কোথাও নরমাল স্যালাইন নেই। হাসপাতালে না পেয়ে রোগীর স্বজনরা ফার্মেসিতে স্যালাইন কিনতে গিয়ে না পেয়ে খালি হাতে ফিরে আসছেন। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রোগী সরোয়ার হাওলাদার বলেন, হাসপাতালে নরমাল স্যালাইন না থাকায় বাহিরের ফার্মেসিতে গিয়েও স্যালাইন পাচ্ছি না।
রোগীর স্বজন গোলাম কিবরিয়া বলেন, হাসপাতাল ও ফার্মেসি কোথাও নরমাল স্যালাইন পাচ্ছি না। দ্রুত স্যালাইনের সংকট দূর করার জন্য দাবি জানাই। রহমান মেডিক্যাল হলের মালিক আবদুস সোবাহান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আমতলীতে নরমাল স্যালাইনের সংকট রয়েছে। স্যালাইন উৎপাদনকারী কোনো কম্পানিই স্যালাইন সরবরাহ করছে না। রোগীর স্বজনরা স্যালাইন না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন।
আমতলী ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খান মেডিক্যাল হলের মালিক দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, গত এক মাস ধরে আমতলীতে নরমাল স্যালাইনের কোনো সরবরাহ নেই। স্যালাইন উৎপাদনকারী কম্পানিগুলোর স্থানীয় প্রতিনিধিদের বারবার বলার পরেও তারা স্যালাইন সরবরাহ করছেন না। অরিয়ন ইনফিউশন স্যালাইন কম্পানি লিমিটেড কম্পানির প্রতিনিধি লাভলু ও দি-একমি ল্যাবরেটরি লিমিটেড কম্পানির প্রতিনিধি মো. জসিম উদ্দিন বলেন,
হঠাৎ করে নরমাল স্যালাইনের চাহিদা ২০ গুণ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্যালাইন সরবরাহে সমস্যা দেখা দিয়েছে। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. আবদুল মুনায়েম সাদ হাসপাতালে নরমাল স্যালাইনের সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে নরমাল স্যালাইন সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। স্যালাইন চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট চাহিদা দেওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুতই স্যালাইন সংকট দূর হবে।