তিনি বলেন, “আমরা চাই সব হিসাব-নিকাশ ও আর্থিক বিষয়গুলোর সমাধান হোক। একই সঙ্গে এখানে যে ভয়াবহ গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল, তার জন্য পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করুক, ক্ষমা প্রার্থনা করুক। এছাড়া বাংলাদেশে আটকে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদেরও তারা ফিরিয়ে নিক।”
তবে বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, ১৯৭১ সালের বিষয়টি ১৯৭৪ ও ২০০২ সালে সমাধান হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, “আমি তাঁর সঙ্গে একমত নই। যদি সমাধান হয়ে যেত, তাহলে এ বিষয়ে নতুন করে আলোচনার প্রয়োজন হতো না।”
তিনি আরও জানান, “বৈঠকে আমরা আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। অন্তত তিনটি মূল বিষয়ে বাংলাদেশ তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে। উভয় পক্ষই সম্মত হয়েছি যে, এসব ইস্যু সমাধান করতে হবে এবং ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নিতে এগুলোকে পিছনে ফেলার চেষ্টা করতে হবে।”
তৌহিদ হোসেন আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনে আলোচনার ধারাবাহিকতায় এ ধরনের ঐতিহাসিক ও সংবেদনশীল বিষয়গুলোর সমাধান সম্ভব হবে।