কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানায় এক মামলার বাদী হোসেন আলীর ওপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মামুনার রশিদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অনুযায়ী, বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে থানার একটি কক্ষে এসআই মামুন বাদীকে লাথি মারেন এবং স্যান্ডেল দিয়ে পেটান।
হোসেন আলী জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধে তিনি গত ১২ ফেব্রুয়ারি ৯ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই মামুন, যিনি তদন্ত শেষে মাত্র একজনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। বাদীর অভিযোগ, মামলার তদন্ত প্রভাবিত করতে পুলিশ কর্মকর্তা তার কাছ থেকে ঘুষ নেন এবং সুবিধা দিয়ে অন্য আসামিদের মামলা থেকে বাদ দেন।
হোসেন আলীর ভাষ্য, ‘বুধবার তদন্ত বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই মামুন প্রথমে আমাকে লাথি মারেন, পরে স্যান্ডেল দিয়ে মারতে মারতে থানা থেকে বের করে দেন। কয়েকজন পুলিশ সদস্য তখন উপস্থিত থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। গেটে থাকা নারী পুলিশ সদস্য আমাকে চলে যেতে বলেন।’
স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের আরসিএম আতাউর রহমান ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জানান, তিনি নামাজ পড়া অবস্থায় মারধরের শব্দ শুনতে পান। নামাজ শেষে থানার গেটে গিয়ে দেখেন, একজন ব্যক্তি কাঁদছেন এবং শরীরে মারধরের চিহ্ন দেখাচ্ছেন।
তবে এসআই মামুনার রশিদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘বাদী বিভিন্ন সময়ে মামলার বিষয়ে আমাকে বিরক্ত করতেন। আজ তর্ক হয়েছে, তবে কোনো মারধর করিনি।’
এ বিষয়ে কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল আলম বলেন, ‘আমি তখন অফিসে ছিলাম না। এ ধরনের কোনো ঘটনার কথা জানি না। সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’
ভুক্তভোগী হোসেন আলী জানান, ঘটনার পর থানার গেটে লোকজনকে বিষয়টি জানালে এসআই মামুন তাকে ওসির বরাতে আবার থানায় আসতে বলেন। তবে মারধরের ভয়েই তিনি আর ফিরে যাননি।