ঢাকা প্রেসঃ
মোঃআমিনুল ইসলাম....
প্রকৃতির প্রতিশোধ - এই ধারণাটি সাহিত্য, কবিতা, এমনকি কিংবদন্তিতেও বারবার দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবতায় কি এর কোন ভিত্তি আছে?
মানুষের কর্মের প্রতিক্রিয়া:
মানুষের কর্মের ফলাফল অবশ্যই হয়। আমরা যা করি, তার প্রভাব আমাদের চারপাশের বিশ্বের উপর পড়ে। পরিবেশ দূষণ, প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার, এসবের ফলে ঋতু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো ভয়াবহ পরিণতি দেখা দিতে পারে।
নৈতিকতার বিচার:
নৈতিকতার দিক থেকে বিবেচনা করলে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের ধারণা বিতর্কিত। কারো প্রতি অবিচার করলে, তার প্রতিশোধ নেওয়ার চেয়ে ক্ষমাশীলতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা উচিত।
কর্মফলের নীতি:
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, আমাদের কর্মের ফল আমাদের ভোগ করতে হবে। ভালো কর্মের ভালো ফল, মন্দ কর্মের মন্দ ফল।
প্রকৃতির ভারসাম্য:
প্রকৃতি সর্বদা ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করে। কোন কিছু যদি ভারসাম্যহীন হয়, প্রকৃতি তখন পাল্টা পদক্ষেপ নেয়।
পরিশেষে বলা যায়, প্রকৃতির প্রতিশোধের ধারণাটি জটিল ও বহুমুখী। এর পেছনে বৈজ্ঞানিক, নৈতিক, ধর্মীয় এবং দার্শনিক দিক রয়েছে। আমাদের কর্মের ফলাফল সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং ন্যায়বিচার ও নীতিশাস্ত্রের নীতি মেনে চলা উচিত।
মনে রাখবেন:
এই নীতিগুলো মেনে চললে আপনি প্রকৃতির প্রতিশোধের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।