নোয়াখালী জেলা শহরে এখনো হাঁটু পানি, ডুবে আছে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো
প্রকাশকালঃ
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ ৫৭২ বার পঠিত
নোয়াখালীসহ ১২ জেলায় ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত ঢল ও প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় বিপুল জনসাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে করে পানিবন্দি হয়ে পড়েন অর্ধকোটিরও বেশি মানুষ। এ ছাড়া বহু প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। গত কয়েকদিনে অন্যান্য জেলায় বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও এখনো বিপর্যস্ত নোয়াখালী। জেলা শহরে এখনো হাঁটু পানি, ডুবে আছে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো।
জানা গেছে, খাল-নালা দখল ও অপরিকল্পিত ড্রেনেজব্যবস্থার কারণে নামছে না বন্যার পানি। পানি না কমায় জেলার আট উপজেলায় এক হাজার ২৬৯টি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বেশির ভাগ মানুষই নিজ ঘরে ফিরতে পারেনি। উল্টো অনেকের ঘরে জমা পানি দূষিত হয়ে দুর্গন্ধ হয়ে পড়ায় গতকাল সেনবাগ ও বেগমগঞ্জের কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে কিছু লোক নতুন করে যোগ হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা বলছে, জেলা শহরের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ইসলামিয়া খাল, ছাগলমারা খাল, গাবুয়া খাল ও দত্তেরহাট খাল দিয়ে সদর উপজেলার পানি নিষ্কাশন হয়। কিন্তু এসব খাল অবৈধ দখল হওয়া ও খাল খননে অনিয়মের কারণে বন্যার পানি নামছে না। তা ছাড়া শহরেও আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা নেই। গতকাল বেগমগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, চারতলা ভবনের পুরোটাতেই বানভাসিরা থাকছে।
তারা জানায়, নিজেদের ঘরে এখনো হাঁটু পানি, কবে যে ফিরতে পারবে, তা জানে না। কাঁচা ঘরগুলো পানিতে ধসে খুবই নাজুক অবস্থায় পড়ে আছে। বাড়ির হাঁস-মুরগি সব মরে গেছে। পুরুষ সদস্যরা মাঝে মাঝে নৌকা দিয়ে বাড়িঘর দেখে আসেন। সেনবাগের ছাতারপাইয়া স্কুলে গতকালও কয়েকটি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।তাদেরই একজন কৃষক সলিম উল্যা জানান, তাঁর ঘরের পানি সামান্য একটু কমেছে। পানি খারাপ হওয়ায় গায়ে চুলকানি শুরু হয়েছে। অবস্থা খারাপ দেখে তিনি পরিবার নিয়ে এখানে উঠেছেন।