জায়গা বাঁচায় দেয়ালে কেবিনেট

প্রকাশকালঃ ১৪ মার্চ ২০২৩ ০৪:৪৪ অপরাহ্ণ ২২৫ বার পঠিত
জায়গা বাঁচায় দেয়ালে কেবিনেট

যুগে সীমিত আয়তনের অন্দরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নানামুখী ব্যবহারের উপযোগী আসবাব। চাইলে দেয়াল কেবিনেটেও রাখা যায় এমন ব্যবস্থা। স্থান সংকুলানের জন্য ড্রেসিং টেবিল, ডিনার ওয়াগন, বইয়ের তাক, ইস্ত্রি করার টেবিল, এমনকি পড়ালেখার টেবিল বা হালের ‘ওয়ার্ক স্টেশন’-এর বিকল্প ব্যবস্থাও সেখানে করা যায়।

কাঠ বা বোর্ডের গাঁথুনিতে গড়ে ওঠে বদ্ধ কেবিনেট। কোনো অংশের পাল্লা না খুললে ভেতরের জিনিস দেখাই যায় না। আবার কোনো অংশের পাল্লায় থাকতে পারে স্বচ্ছ কাচ; আবার কোনো কোনোটি একেবারেই খোলামেলা, পাল্লাবিহীন। বৈচিত্র্যময় ডিজাইন দিয়ে দেয়ালের রূপটাই বদলে দেওয়া যায়। অন্দরসজ্জায় একে বলা হয় দেয়ালের ‘কম্পোজিশন’, এমনটাই বলছিলেন অ্যাসথেটিকস ইন্টেরিয়রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরামর্শক সাবিহা কুমু।

শোয়ার ঘরের দেয়াল কেবিনেট
• কাপড়চোপড় রাখার কেবিনেটের পাল্লায় আয়না বসিয়ে নেওয়া যায়, পাল্লায় তাক করেও নেওয়া যায়। এমনটা করা হলে ড্রেসিং টেবিলের জন্য আর আলাদা জায়গার প্রয়োজন হবে না।

• ড্রেসিং টেবিল রাখার জায়গা থাকলেও কাপড়চোপড়ের কেবিনেটের পাশেই ড্রেসিং টেবিলের কাজ সারার মতো তাক তৈরি করাতে পারেন। এই তাকের ওপর আলোর ব্যবস্থা রেখে এই বরাবর ওপরেই হতে পারে আরও কেবিনেট।

• বাড়িতে পড়ালেখা বা কাজের জায়গা (ওয়ার্ক স্টেশন) না থাকলে কেবিনেটের নিচ বরাবর এমন জায়গা তৈরি করে নেওয়া যায়। কেবিনেটের নিচে ছোট টিউবলাইটের হিডেন বা লুক্কায়িত আলোর উৎস থাকলে সেখানে আলোও পাওয়া যাবে পর্যাপ্ত।

• ইস্তিরি করার জায়গা না থাকলে কাপড়চোপড়ের বড় কেবিনেটের পাল্লার সঙ্গেই ব্যবস্থা করে নিতে পারেন। পাল্লা খুললেই ইস্তিরি করার জায়গাটা বেরিয়ে আসবে।

শিশুর ঘরের দেয়াল কেবিনেট

• বড়দের শোয়ার ঘরের মতো করেই শিশুর ঘরে কেবিনেটের নিচ বরাবর পড়ালেখার জায়গা হতে পারে।

• শিশুর কাপড়চোপড় এবং খেলনাও গুছিয়ে রাখতে পারেন কেবিনেটে। পাল্লাবিহীন অংশে বই ও স্টেশনারিসামগ্রী রাখা যায়।

খাবার ঘরের দেয়ালে কেবিনেট হতে পারে ডিনার ওয়াগনের কার্যকর বিকল্প। সেখানে সুবিধাজনক উচ্চতায় ওভেন, টোস্টার প্রভৃতি রাখার জন্য নির্দিষ্ট কিছু ফাঁকা জায়গাও রাখা যায়। চাইলে ড্রয়ারের ব্যবস্থাও করতে পারেন, যেখানে চামচের মতো ছোটখাটো অনুষঙ্গ রাখা যায়।

• প্রয়োজন অনুযায়ী উচ্চতা কমবেশি করে নিন। চাইলে ছাদ পর্যন্তই দেয়াল ‘কম্পোজিশন’ করা যায়। যেসব জিনিস সচরাচর নামানো হয় না, সেগুলো রাখুন ওপর দিকে।

• বসার ঘর বা পারিবারিক ঘরে টেলিভিশনের পাশে কম উচ্চতার তাক করে নেওয়া যায়। চাইলে টেলিভিশনের নিচ বরাবর কম উচ্চতার কেবিনেট করতে পারেন, একটি লম্বা রেখার মতো হয়ে থাকবে কেবিনেট। ফলস সিলিং করে সেই উচ্চতা পর্যন্ত কেবিনেট করে বই রাখতে পারেন।

• বড়দের শোয়ার ঘর, শিশুর ঘর, বসার ঘর বা পারিবারিক ঘরের কেবিনেটের পাল্লাবিহীন অংশে স্পটলাইটের ব্যবস্থা করে বই, অন্দরের উপযোগী গাছ কিংবা অন্দরসজ্জার নানান উপকরণ রাখতে পারেন।

• বাড়ি তৈরির সময়ই কেবিনেটের ব্যবস্থা করে নিলে ঝক্কি কম পোহাতে হয়। তবে বাড়িতে ওঠার আগে কেবিনেট করার ইচ্ছা থাকলেও সবারই সেই সংগতি না-ও থাকতে পারে। পরে কেবিনেট করার ইচ্ছা থাকলে সুনির্দিষ্ট দেয়ালটার সামনে অন্য আসবাব না রাখাই ভালো।