সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানে এক যুবলীগ নেতার গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সংঘর্ষের জেরে উভয়পক্ষের কর্মীরা একে অপরের অফিসে ভাঙচুর চালায়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় মধ্যনগর উপজেলার বংশিকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনার পরপরই উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মজনু ও জেলা যুবদল নেতা শহীদ মিয়ার সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শহীদ মিয়ার দাবি, গ্রেপ্তার হওয়া মিজানুর রহমান বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়, যা একপর্যায়ে ব্যাপক ভাঙচুরে রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন মধ্যনগর বাজার ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করে।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উজ্জ্বল রায় জানান, যুবলীগ নেতার গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং একে অপরের অফিসে হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন দ্রুত ১৪৪ ধারা জারি করে।
তিনি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ১৪৪ ধারা কার্যকর হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।