আনার হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার তিন আসামির আট দিনের রিমান্ড

প্রকাশকালঃ ২৫ মে ২০২৪ ০৫:১০ অপরাহ্ণ ৭৪৯ বার পঠিত
আনার হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার তিন আসামির আট দিনের রিমান্ড

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ঝিনাইদহ-৪ আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার তিন আসামির আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলেন, তানভীর, শিমুল ভূঁইয়া ও সেলেস্তি রহমান।

 

শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হয়। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মাহফজুর। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিলরুবা আফরোজ তিথি এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

এর আগে বৃহস্পতিবার সৈয়দ আমানুল্লাহ, ফয়সাল আলী ও সেলেস্তি রহমানকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

 

ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে কলকাতার দমদম বিমানবন্দর লাগোয়া নিউটাউনে রহস্যজনকভাবে খুন হন আনোয়ারুল আজিম আনার। স্নায়ুরোগের চিকিৎসা নিতে তিনি ১২ মে দর্শনা-গেদে সীমান্ত দিয়ে কলকাতা যান। কিন্তু পরদিন থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন। মূলত সেদিনই (১৩ মে) তাকে হত্যা করা হয়। 

 

এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে বুধবার। ওইদিনই রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন (২৪) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

 

এদিকে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় ভারতের একটি তদন্তদল ঢাকায় পৌঁছেছে। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর ডিবি কার্যালয়ে যান ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর অফিসার অন্তু কুমার, জয়দীপসহ চারজন। তারা সেখানে আনারের মৃত্যুর ঘটনার নানা দিক নিয়ে ডিবি ওয়ারী বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন হয়ে বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে একটি বৈঠক করে। একই সঙ্গে ডিবির কাছে গ্রেফতার থাকা হত্যামামলার আসামিদের সঙ্গেও কথা বলেন তারা। পরে রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ডিবি কার্যালয় থেকে বের হন। তারা এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। 

 

বৈঠক শেষে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মো. হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কাছে যেসব আসামি আছে তাদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের প্রতিনিধি দল কথা বলেছে। আসামিরা যেসব তথ্য আমাদের কাছে দিয়েছে একই তথ্য তাদেরকে দিয়েছে। আসামিদের বক্তব্য তারা শুনেছেন। পাশাপাশি ওই দেশে যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের মাধ্যমে কলকাতা পুলিশ অভিলম্বে ভুক্তভোগীর ডেডবডির বিভিন্ন অংশ উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।