চলতি আইপিএলে প্রথম দুই ম্যাচ হারা দিল্লি তাদের তৃতীয় ম্যাচে এসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রোববার (৩১ মার্চ) তারা হারিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংসকে।
রোববার আগে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইকে ১৯২ রানের লক্ষ্য দেয় দিল্লি ক্যাপিটালস।
ফিফটি করেছেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ‘মৃত্যুর দুয়ার’ থেকে ফিরে আসা অধিনায়ক ঋষভ পন্ত। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলার পথে নতুন কীর্তি গড়েছেন ওয়ার্নার। আইপিএল ইতিহাসের প্রথম বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে ৬৫০০ রান স্পর্শ করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার।
৩১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে আজ চেন্নাইয়ের সেরা বোলার মাতিশা পাতিরানা। মোস্তাফিজের ৩০০তম উইকেট পাওয়ার পুরো কৃতিত্ব পাতিরানাই। তিনিই মোস্তাফিজের বলে এই আইপিএলের সেরা ক্যাচ নিয়ে ওয়ার্নারকে ফিরিয়েছেন।
জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলতে পারে চেন্নাই। এতে ২০ রানের জয় পায় দিল্লি। ফলে টানা দুই জয়ের পরের তিতো স্বাদ পেলো চেন্নাই।
ইনিংসের প্রথম তিন ওভারের ভেতরে দুই উইকেট হারায় চেন্নাই। এরপর চেন্নাই শিবিরে হা্ল ধরেন রাহানে এবং ড্যারিল মিচেল। দুজনের ব্যাটে ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় চেন্নাই। তবে তাদের জুটিও বেশি বড় হতে দেননি অক্ষয় প্যাটেল। দুই জনের গড়া ৬৮ রানের জুটি ভাঙেন তিনি। মিচেলকে ৩৪ রানে আউট করে দিল্লি।
দুই ওভার পরই ফিরে যান ফিফটির দ্বারপ্রান্তে থাকা রাহানে। ৩০ বলে ৪৫ করে মুকেশ কুমারের বলে আউট হন তিনি। এরপর ধুবে ও রিজভি দ্রুত ফিরে গেলে হারের শঙ্কা সৃষ্টি হয় চেন্নাইয়ের।
প্রথম দুই ম্যাচে সুযোগ থাকার পরও ব্যাটিংয়ে নামার প্রয়োজন মনে করেননি মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে আজ যখন শুরু থেকেই মনে হচ্ছিল ধোনির না নেমে উপায় নেই, তখন কি তিনি আরেকটু ওপরে উঠে আসতে পারতেন না! এবারের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের প্রথম হারের পর এমনটা ভাবাই হয়তো স্বাভাবিক।
ধোনি যখন নামেন, তখন ২৩ বলে দরকার ছিল ৭২ রান। ৪৩ ছুঁই ছুঁই ধোনি তবু চেষ্টা করলেন। ১৬ বলের ইনিংসে ৪টি চার আর ৩টি ছক্কায় দর্শকদের ভরপুর বিনোদন দিয়ে অপরাজিত থাকলেন ৩৭ রানে। চেন্নাইকে ২০ রানে হারিয়ে দিল্লি পেল এবারের আসরে প্রথম জয়। এ হারে পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে নেমে গেছে চেন্নাই। কলকাতা নাইট রাইডার্স উঠে এসেছে শীর্ষে।