সিগারেটের দাম ও কর বৃদ্ধির দাবি

প্রকাশকালঃ ১২ জুলাই ২০২৪ ০২:০২ পূর্বাহ্ণ ৩৪০ বার পঠিত
সিগারেটের দাম ও কর বৃদ্ধির দাবি

ঢাকা প্রেস নিউজ


বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘উন্নয়ন সমন্বয়’-এর সভাপতি ড. আতিউর রহমান বলেছেন, সিগারেটের দাম বাড়াতে ‘বিগ পুশ’ দরকার। সিগারেটের কর ও দাম দুই-ই বাড়াতে হবে। অল্প করে দাম বাড়ানোয় সিগারেটের বিক্রি না কমে বরং বেড়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলামোটরে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে সিগারেটে কার্যকর করারোপ বিষয়ে উন্নয়ন সমন্বয় আয়োজিত বাজেট পরবর্তী নীতি সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।

 

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ড. আতিউর রহমান সিগারেটের দাম ও কর উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধির দাবি করেছেন। তাঁর মতে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অল্প করে দাম বাড়ানোর পরও সিগারেটের বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে। মূল্যস্ফীতির সাথে তাল মিলিয়ে দাম না বাড়ানোয় সিগারেট সহজলভ্য হয়ে উঠছে এবং সরকার প্রাপ্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সিগারেটজনিত মৃত্যুহারও কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় কমছে না।
 

প্রস্তাবিত সমাধান: সিগারেটের উপর কর ও দাম উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা। করারোপের হার কার্যকর করা যাতে সরকার প্রত্যাশিত রাজস্ব আয় করতে পারে। সিগারেটের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে ধূমপান নিরুৎসাহিত করা এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নতি করা।

 

সিগারেটের দাম ও কর বৃদ্ধির পক্ষে যুক্তি: জনস্বাস্থ্যের উন্নতি: ধূমপান তামাকজনিত বিভিন্ন রোগের মূল কারণ। সিগারেটের দাম বৃদ্ধি করে ধূমপান কমিয়ে আনা সম্ভব, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ইতিবাচক হবে। রাজস্ব বৃদ্ধি: সিগারেটের উপর কর বৃদ্ধি করে সরকার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আয় করতে পারে। এই রাজস্ব স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও অন্যান্য  ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে। ধূমপান নিরুৎসাহিতকরণ: সিগারেটের দাম বৃদ্ধি করলে ধূমপান, বিশেষ করে নাবালকদের মধ্যে ধূমপান, নিরুৎসাহিত হবে।


অবৈধ বাজার বৃদ্ধি: দাম বেশি হলে অবৈধ সিগারেটের বাজার বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে সরকার রাজস্ব হারাবে এবং জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়বে নিম্ন আয়ের মানুষের উপর প্রভাব: সিগারেটের দাম বৃদ্ধি নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিশেষ করে ক্ষতিকর হতে পারে। বিকল্প কর্মসংস্থানের উপর প্রভাব: সিগারেট শিল্পে কর্মরত অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হুমকির মুখে পড়তে পারে।

 

সিগারেটের দাম ও কর বৃদ্ধি একটি জটিল বিষয় যার জনস্বাস্থ্য, রাজস্ব আয় এবং অর্থনৈতিক প্রভাব সহ বিভিন্ন দিক রয়েছে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সকল দিক বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।