ঢাকা প্রেস
নেত্রকোণা প্রতিনিধি:-
নেত্রকোণায় বন্যার পানি কিছুটা কমলেও, দুর্ভোগের মাত্রা কমছে না। বরং পানি কমার সাথে সাথে নতুন নতুন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ এখন খাদ্য সংকট, যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি মেরামতের মতো জটিল সমস্যার মুখোমুখি।
বন্যার পানিতে ধান-চালসহ অন্যান্য খাদ্যশস্য নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক পরিবার খাদ্য সংকটে পড়েছে। আবার, অনেকের ঘরবাড়ি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে তাতে আর থাকা যাচ্ছে না।
জেলার বেশিরভাগ গ্রামীণ রাস্তাঘাট এখনও পানির নিচে থাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে। ফলে মানুষের জন্য জরুরি সহায়তা পৌঁছে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
বন্যায় প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর আমন ফসল ও ১৭৭ হেক্টর সবজি নষ্ট হয়েছে। এছাড়া, এক হাজার ৪৮০টি পুকুর ও খামারের ৭২৩ দশমিক ৪৩ টন মাছ ও পোনা ভেসে গেছে।
বন্যার কারণে জেলার ২৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষালাভে ব্যাঘাত ঘটছে।
জেলা প্রশাসন এ পর্যন্ত চার লাখ টাকা, তিন হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৮০ টন চাল বিতরণ করেছে। তবে, বন্যা কবলিত এলাকার বিস্তীর্ণতা বিবেচনা করে এই সহায়তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড: পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, জেলার নদ-নদীর পানি দ্রুত কমছে। তবে, উব্দাখালী নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে পানি এখনো বিপৎসীমার উপরে রয়েছে।
সড়ক পরিবহন: বন্যায় জেলার অনেক সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে কিছু সময় লাগবে।
কৃষি ও মৎস্য: বন্যার কারণে কৃষি ও মৎস্য খাতে যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণে দীর্ঘ সময় লাগবে।
নেত্রকোণার বন্যা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়ে ওঠেনি। বন্যা কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থার আরও ব্যাপক উদ্যোগের প্রয়োজন।