পদ্মা ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে চারঘাটে মানববন্ধন

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ০১ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৪২ অপরাহ্ণ   |   ৫৬ বার পঠিত
পদ্মা ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে চারঘাটে মানববন্ধন

মোঃ শফিকুল ইসলাম, চারঘাট (রাজশাহী) সংবাদদাতা:-

 

রাজশাহীর চারঘাটে পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে শনিবার (০১ নভেম্বর) সকাল থেকে ব্যাপক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার চৌ-রাস্তা মোড়ে এই বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন পদ্মা পাড়ের স্থানীয় বাসিন্দা, রাজনৈতিক নেতারা, শিক্ষক, ছাত্র ও বিভিন্ন পেশার মানুষ।
 

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম বিকুল, পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল মোমিন, যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুস সালেক আদিল, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুব রহমান, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির রহমান মুকুট, উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আলমগীর হোসেনসহ অনেকে। উত্তর মেরামতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শাহিনুর রহমান শাহীন এবং ভাঙনবিধ্বস্ত এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও মানববন্ধনে অংশ নেন।
 

স্থানীয়রা জানান, পিরোজপুর, গোপালপুর, চন্দনশহর, সাহাপুর ও বাঘার চক রাজাপুর অঞ্চলের হাজার হাজার পরিবার পদ্মার অব্যাহত ভাঙনে চরম ক্ষতিগ্রস্ত। উত্তর মেরামতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, “এভাবে ভাঙন চলতে থাকলে আমাদের পুরো এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।”
 

উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম বিকুল অভিযোগ করেন, পূর্ববর্তী সরকার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা শুধুই প্রতিশ্রুতির কথা বলে গেছেন; বাস্তবে পদ্মা পাড়ের মানুষের জন্য কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তিনি বলেন, “বালু উত্তোলন ও অনিয়ন্ত্রিত কাজ ভাঙনকে আরও ত্বরান্বিত করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সময়ক্ষেপণ করছে। তাই আমরা স্থায়ী বাঁধ না হওয়া পর্যন্ত ভুক্তভোগীদের পাশে থেকে দাবি আদায় করে যাব এবং প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলন চালাব।”
 

রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, “চারঘাটের মানুষ সংগ্রামে অভ্যস্ত—ব্রিটিশ ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়েই স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছে। যদি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ শুরু না করা হয়, আমরা পাউবোর (পানি উন্নয়ন বোর্ড) অফিস ঘেরাওসহ আরও কঠোর কর্মসূচি নেওয়ার হুমকি দিচ্ছি।” তিনি জানান, প্রয়োজনে ট্রাকে করে হাজার হাজার মানুষ নিয়ে পাউবোর অফিস ঘিরে রাখা হবে এবং বাধ্য করলে অফিস কার্যক্রম বন্ধও করা হবে।
 

মানববন্ধন শেষে উপস্থিতরা স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, তৎক্ষণাৎ জরুরি মেরামত ও বালু উত্তোলন সামাল দেওয়ার দাবি জানান এবং দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না হলে আরও সুসংগঠিত পদক্ষেপের আশঙ্কা প্রকাশ করেন।