লক্ষ্মীপুরে ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকান লুট

প্রকাশকালঃ ১৪ জুন ২০২৩ ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ ১৬২ বার পঠিত
লক্ষ্মীপুরে ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকান লুট

ক্ষ্মীপুরে ককটেল ফাটিয়ে দোকানে ঢুকে মালিককে কুপিয়ে স্বর্ণ লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামি সজিব ও মুনছুরকে দুই দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী অঞ্চল সদর আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক তারেক আজিজ এ আদেশ দেন।

এসময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের সিএসআই (কোর্ট উপ-পরিদর্শক)-এর সঙ্গে রিমান্ড মঞ্জুরে আইনজীবী মো. শামছুদ্দিন, রেজাউল করিম রাজু পাটোয়ারী ও রাকিবুল হাসান তামিম শুনানিতে অংশ নেন। রাত ১১টার দিকে আইনজীবী রাকিবুল হাসান তামিম বলেন, স্বর্ণ লুট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন।

এসময় আমরা শুনানিতে অংশ নিয়েছি। আমরা আদালতকে বুঝাতে সক্ষম হয়েছি, শহরে এ ধরনের লুট বা ডাকাতির ঘটনা এটাই প্রথম। এতে অধিকতর তথ্য উদঘাটনে আদালত আসামিদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।


রাতে সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা বলেন, দুই আসামি এর আগে একই আদালতে ঘটনা নিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

এখন স্বর্ণ লুট মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার (এসআই) মো. হানিফ তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন। আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।


সজীব বরগুনা জেলার বামনা থানার খুসনিছড়া গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে ও মুনছুর নরসিংদী জেলার মাধবদী থানার বাগবাড়ি এলাকার মৃত আজিজুলের ছেলে।

থানা পুলিশ জানায়, বুধবার (৭ জুন) রাত ৮টার দিকে পিকআপভ্যানে একদল ডাকাত এসে ককটেল ফাটিয়ে শহরের আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মোড়ে আর কে শিল্পালয়ে ঢুকে।


এসময় তারা মালিক অপু কর্মকারকে কোপায়। ২০-২২ ভরি স্বর্ণ লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আহত ব্যবসায়ীর ছেলে প্রান্ত কর্মকার বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ ও অচেনা আরো ৭-৮ জনকে আসামি করেন। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুয়েল হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এছাড়া ডাকাতরা দ্রুত পালানোর সময় শহরের ইটেরপুল এলাকায় পিকআপভ্যান চাপায় পথচারী সফি উল্যার (৭০) মৃত্যুর ঘটনায় উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

ইটেরপুল এলাকা থেকে লোকজন নরসিংদীর মুনছুর ও বরগুনার সজিবকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। তাদেরকে শুক্রবার (৯ জুন) গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার এখনো উদ্ধার হয়নি। তাদের কাছ থেকে তিন ভরি চার রতি আট পয়েন্ট স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। বাকি স্বর্ণ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।