প্রতিশোধ নিতে শ্বাসরোধে হত্যা, দুই আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশকালঃ ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ০৪:১৭ অপরাহ্ণ ৪২২ বার পঠিত
প্রতিশোধ নিতে শ্বাসরোধে হত্যা, দুই আসামি গ্রেপ্তার

ঢাকা প্রেস,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:-

 

চুয়াডাঙ্গায় আলোচিত খালেদা আক্তার মুন্নি (১৮) হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে মূল আসামি মানিক আলী মুন্সি ও তার সহযোগী পারভেজ মহাসিন স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, প্রতিশোধ নিতে মুন্নিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

 

গ্রেপ্তার মানিক আলী মুন্সি চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার হাজরাহাটি শেখপাড়ার টোকন আলী মুন্সির ছেলে এবং পারভেজ মহাসিন স্বপন একই এলাকার মইদুল ইসলামের ছেলে।

 

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার ভাংবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা খোয়াজ আলী শেখের মেয়ে খালেদা আক্তার মুন্নি গত ৯ নভেম্বর দুপুরে কেনাকাটার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পরে, ১৪ নভেম্বর সকালে পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর অর্ধগলিত বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করে। শরীরে থাকা ট্যাটু দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত করেন পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় মুন্নির মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

মামলার পর পুলিশ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে মাঠে নামে। অবশেষে, গত শুক্রবার রাত ২টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযানে দুই আসামিকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

 

পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ঘটনার সূত্রপাত ৬ নভেম্বর। মানিক মুন্সি ও তার বন্ধুরা বড়গাংনীতে মুন্নিকে অনৈতিক সম্পর্কের জন্য নিয়ে যায়। এ সময় মুন্নি তাদের ব্ল্যাকমেইল করে ২০ হাজার টাকা আদায় করেন। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মানিক প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে।
 

৯ নভেম্বর বিকেলে ফোনকলের মাধ্যমে মানিক মুন্সির সঙ্গে মুন্নি আবারও দেখা করতে রাজি হয়। সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বোয়ালমারি নীলমনিগঞ্জ পিটিআই মোড়ে আসার পর মানিক ও তার সহযোগী পারভেজ মোটরসাইকেলে করে মুন্নিকে বোয়ালমারি শ্মশান এলাকার জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে পালাক্রমে শারীরিক সম্পর্কের পর পারভেজ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
 

পরবর্তীতে টাকা নিয়ে বিরোধে মুন্নি চিৎকার শুরু করলে মানিক তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার পর মুন্নির হাত বেঁধে জঙ্গলে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়।

 

গ্রেপ্তার আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত চলছে। পুলিশ পুরো ঘটনার বিস্তারিত জানতে আরও অনুসন্ধান চালাচ্ছে।