সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে নিখোঁজের দুই দিন পর এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত শিশুটির নাম ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ (৭)। সে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের কুশিউড়া গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিস আলীর একমাত্র ছেলে। ইব্রাহিম স্থানীয় কুশিউড়া ডালিয়া এবতেদায়ী মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ছিল। পরিবারের দাবি, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইব্রাহিমকে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ঘরে শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়।
ইব্রাহিমের মৃত্যুর পর তার বাবা ইদ্রিস আলী ও মা জাহানারা বেগম নিঃসন্তান হয়ে পড়েছেন। তাদের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার কারণে একই গ্রামের জাকির হোসেন, আইয়ুব আলী, মোকশেদ আলী এবং রমজান আলী মিলে ইব্রাহিমকে হত্যা করেছে। তারা বলেন, “আমাদের বুক খালি করে দিল। আমরা খুনিদের ফাঁসি চাই।”
পুলিশ ও স্থানীয়দের তথ্যমতে, গত শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ইব্রাহিম বাড়ি থেকে খেলতে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরিবারের পক্ষ থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরদিন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তারা। সোমবার সকালে গ্রামের শিশুরা খেলার সময় বল খুঁজতে গিয়ে পরিত্যক্ত ঘরে ইব্রাহিমের মরদেহ দেখতে পায়।
গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল কাদির বাচ্চু মিয়া বলেন, “আমরা এই ঘটনায় হতবাক। এমন শিশুর কী শত্রু থাকতে পারে? ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। কারণ তার মুখ ও চোখে রক্তের দাগ ছিল।”
দোয়ারাবাজার থানার ওসি মো. জাহিদুল হক জানান, “মরদেহের চোখ ও কানের নিচে আচড়ের চিহ্ন রয়েছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে কিছু তথ্য পেয়েছি। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ইব্রাহিমের মৃত্যুতে পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ দ্রুত অপরাধীদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছে।