প্রকাশকালঃ
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৬:৩০ অপরাহ্ণ ১৭৬ বার পঠিত
প্যানিক অ্যাটাক খুব ভীতিকর মনে হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য। তবে সাধারণত চিকিৎসার মাধ্যমে এটা সমাধান করা যেতে পারে। প্যানিক অ্যাটাক হচ্ছে, ভীতি ও উদ্বেগের তীব্র অনুভূতি। এর প্রধান উপসর্গ কোনো ভয়ংকর বা দুঃখের ঘটনা দেখে বুকে ধড়পড় করা, ঘাম হওয়া, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা দেওয়া । এছাড়া হাত-পা ঠান্ডা হয়ে আসে, মাথার মধ্যে ঝিমঝিম করে ও অস্থির লাগে। কিছুক্ষণ এমন হওয়ার পর আবার ধীরে ধীরে ঠিকও হয়ে যায়। এমন সমস্যার সঙ্গে পরিচিত অনেকেই।
ইয়োগা
কাজের অত্যধিক চাপ, কর্মক্ষেত্রে জটিলতা, প্রত্যাশা পূরণ না হওয়া ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা সব মিলিয়ে এই ধরনের মানসিক উদ্বেগ জন্ম নেয়। কমবয়সীদের মধ্যে এই উদ্বেগের সমস্যা আরও বেশি করে দেখা যাচ্ছে। এই ধরনের উদ্বেগ, সমস্যা থেকে দূরে থাকতে অনেকেই মনোবিদের পরামর্শ নেন। এছাড়াও নিয়ম করে যদি কয়েকটি যোগাসন করা যায়, তা হলে সুস্থ থাকা সম্ভব।
ভুজঙ্গাসন
মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এবার হাতের তালু মেঝের ওপর পাজরের দুই পাশে রাখুন। এরপর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে ওপরের দিকে তুলুন। এবার মাথা তুলে ওপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন।
ধনুরাসন
পেট উপুড় করে শুয়ে পড়ুন। তারপর হাঁটু ভাজ করে পায়ের পাতা যতটুকু সম্ভব পিঠের ওপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দুটো পেছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির ওপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন, পা দুটো মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক হাঁটু ও উরু উঠে আসবে। তলপেট ও পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন।
পদহস্তাসন
সোজা হয়ে দাঁড়ান। তারপর আস্তে আস্তে পা দুটো সামান্য ফাঁক করুন। এবার ভাল করে শ্বাস নিতে নিতে হাত দুটো উপরের দিকে তুলুন। এ বার আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কোমর থেকে শরীরের উপরের অংশ সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন। হাতের সাহায্যে গোড়ালি স্পর্শ করুন। খেয়াল রাখবেন, হাঁটু যেন না ভাঙে। ২০-৩০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে যান।এসএ