নিজস্ব প্রতিবেদক :
নুরনেসা ধর্ষণ মামলাটি এখন নতুন মোড় নিতে যাচ্ছে । মামলার আসামি পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক রমজান আলি প্রমানিক ভিন্ন পথে হাটছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে বাদিকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে সমঝোতার চেষ্টার পাশাপাশি ধর্ষণের আলামত নষ্টে মরিয়া হয়ে উঠেছে রমজান আলী ও ধর্ষণে সহযোগিতাকারি রমজান আলির বন্ধু আশরাফুল ইসলাম রেজোয়ান। ধর্ষণের আলামত কোনো গণ মাধ্যমের হাতে থাকার সন্দেহ থেকে সাংবাদিকের প্রাণে মেরে ফেলার পরিকল্পনাও করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
জানা যায়, রাজধানী মুগদা এলাকায় মদিনাবাগে এম এম টাওয়ারে ধর্ষিতা নারী নুরনেসাসহ আটজনের নামে ৬ কাঠা জমির প্লট রয়েছে। উক্ত জমিতে ভবন নির্মাণে ৫০ লাখ টাকা ব্যাংক লোন পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক নুরনেসাকে গত ৬ মে বিকেল অনুমান ৫টার দিকে ম্যাসেঞ্জারে ফোন দিয়ে ডেকে নেয়। লোন পাওয়র আশ্বাসে অনন্যা সুপার মার্কেটের সামনে যায় নুরনেসা। সেখান থেকে রিকশাযোগে ডিওএইসএসে বন্ধু আশরাফুল ইসলাম রেজোয়ানের ৪৯২/১ লেন -৯ লিফট-৩ বাসায় নিয়ে তরল খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করে অচেতন করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের এ পুরো সাজানো কাজে সহযোগিতা করে বন্ধু আশরাফুল ইসলাম রেজোয়ান।
এ ঘটনায় নুরনেসা ক্যান্টনমেন্ট একটি মামলা দায়ের করেন। থানার মামলা নম্বর ১১ তাং ২৯/৫/২০২৪ ধারা ৯/১ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধিত ২০২০, ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পুর্বক ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। গত ২২ জুন আসামি রমজান আলিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ।
এদিকে মামলায় রমজান আলি গ্রেফতার হলেও ধর্ষণে সহযোগিতাকারী আশরাফুল ইসলাম রেজোয়ান রয়ে গেছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে । সে এখন মামলাটি ভিন্নখাতে নিতে ভেতর থেকে ভূমিকা রাখছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সূত্রমতে, ধর্ষণে সহযোগী আশরাফুল ইসলাম রেজোয়ান এখন বাদীকে মোটা অংকের প্রলোভন দিয়ে গণমাধ্যমের কাছে ধর্ষণের আলামত রয়েছে তা জানতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে গণ মাধ্যমের দু একজন কর্মি। জানা গেছে আসামি রমজান আলি নঁওগা জেলার রানীনগর উপজেলার কয়াকুঞ্চি গ্রামের মরহুম কাশেম আলির বড় ছেলে ।
সূত্রবলছে, বিগত সরকারের আস্থাভাজন হওয়ায় দুই দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান রমজান আলী। সে সময় মেগা প্রকল্প থেকে ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে বহু কোটি টাকার মালিক বনে যান। সেই অবৈধ টাকায় তিনি হয়ে ওঠেন নারী লিপ্সু। রমজান আলী প্রামানিকের দূর্নীতি নারী লিপ্সার আরো ঘটনার অনুসন্ধ্যানের কিছু তথ্য প্রমাণ রয়েছে ঢাকা পোস্ট. ডটকম প্রতিনিধির হাতে। এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে রমজান আলী প্রামাণিক ও সহযোগী আশরাফুল ইসলাম রেজোয়ান এর মুঠোফোনে চেষ্টা করে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি বলে রিপোর্ট করেছেন ঢাকা পোস্ট ডটকম প্রতিনিধি।