জান্নাত লাভে প্রতি ফরজ নামাজের পর যে আমলে করতে হবে
প্রকাশকালঃ
১৪ মে ২০২৪ ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ ৫৫৮ বার পঠিত
পবিত্র কোরআনে সুরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াতটি ‘আয়াতুল কুরসি’ নামে পরিচিত। আয়াত অর্থ চিহ্ন বা নিদর্শন। কুরসি শব্দের অর্থ চেয়ার বা আসন। আয়াতে ব্যবহৃত কুরসি শব্দ থেকে আয়াতটির নামকরণ করা হয়েছে। হাদিসে জান্নাত লাভে প্রতি ফরজ নামাজের পর আয়াতটি পড়ার কথা এসেছে।
আয়াতুল কুরসির অর্থ : ‘আল্লাহ, তিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নাই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক।
তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিন্দ্রা স্পর্শ করে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব তাঁরই। কে সে, যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করবে? তাদের সামনে ও পেছনে যা কিছু আছে তা তিনি অবগত। যা তিনি ইচ্ছা করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কিছুই তারা আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর ‘কুরসি’ আকাশ ও পৃথিবীময় পরিব্যাপ্ত; এদের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না। আর তিনি মহান, শ্রেষ্ঠ। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৫৫)
হাদিসে আয়াতুল কুরসি পাঠের একাধিক উপকারের কথা এসেছে। যেমন—
১. কোরআনের গুরুত্বপূর্ণ আয়াত : উবাই ইবনে কাব (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ একদিন আবুল মুনজিরকে লক্ষ্য করে বলেন, হে আবুল মুনজির! আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াত তোমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? আবুল মুনজির বলেন, এ বিষয়ে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল সর্বাধিক অবগত। রাসুল (সা.) আবার বলেন, হে আবুল মুনজির! আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াত তোমার কাছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? তখন আমি বললাম, আয়াতুল কুরসি (আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ)। এ কথা শুনে তিনি আমার বুকের ওপর হাত রেখে বলেন, হে আবুল মুনজির! তোমার জ্ঞানকে স্বাগতম। (মুসলিম, হাদিস : ১৭৭০; আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৬০)
২. মৃত্যুর পর জান্নাত : আবু উমামা আল বাহিলি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশে মৃত্যুর ছাড়া আর কোনো বাধা থাকবে না। ’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৯৯২৮)
৩. সবচেয়ে সম্মানিত আয়াত : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, প্রতিটি জিনিসের একটি চূড়া থাকে। কোরআনের চূড়া সুরা বাকারা। তাতে এমন একটি আয়াত আছে, যা কোরআনের অন্য আয়াতের ‘নেতা’। সেটা হলো আয়াতুল কুরসি। ’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩১১৯)