ঢাকা প্রেস
আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-
কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ প্রতীক্ষায় রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ রয়েছে, চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের সহকারী সচিব পলাশ স্থানীয় জনগণকে নানা অজুহাতে হয়রানি করছেন। কেবল একটি জন্ম নিবন্ধন পেতে কয়েক সপ্তাহ বা মাসও অপেক্ষা করতে হচ্ছে, এবং অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা দিতে হলেও দ্রুত সেবা মিলছে।
চিলমারী ইউনিয়নের ঢুষমারা গ্রামের আব্দুর রহিম তাঁর স্ত্রী ও সন্তানের জন্ম নিবন্ধন পেতে এক মাস ধরে দৌড়ঝাঁপ করছেন, তবে এখনও এটি পেতে পারেননি। তিনি জানান, সহকারী সচিব পলাশ একের পর এক কাগজপত্র চেয়ে তাকে সময়ক্ষেপণ করছেন, এবং জন্ম নিবন্ধন দ্রুত পেতে তাকে ৫৫০ টাকা দিতে হয়েছে।
এছাড়া, ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা লুৎফর রহমানও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জন্ম নিবন্ধন করতে ১৮ দিন ধরে চেষ্টা করছেন, তবে এখনও তিনি সফল হতে পারেননি।
আব্দুর রহিম বলেন, “এক মাস আগে জন্ম নিবন্ধন আবেদন জমা দিয়েছি ৪ জনের জন্য। পলাশ ৬০০ টাকা চাইছিল, পরে ৫০ টাকা কমিয়ে ৫৫০ টাকা দিয়েছি। কিন্তু এখনো জন্ম নিবন্ধন পাইনি, নানা অজুহাত দিয়ে ঘুরানো হচ্ছে।”
অন্যদিকে, লুৎফর রহমান বলেন, “১৮ দিন ধরে চেষ্টা করছি, কিন্তু এখনো কিছু হচ্ছে না। প্রতিদিন নতুন কোনো অজুহাত দেয়।”
এ ব্যাপারে চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের সহকারী সচিব পলাশ জানান, “পারিবারিক কিছু সমস্যা রয়েছে, আমার বাবা অসুস্থ, তাই একটু ধীরগতি হচ্ছে।”
এ বিষয়ে চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, “এ অঞ্চলে নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে একটি আলাদা অফিস খোলা হয়েছে, যাতে জনগণ সঠিক সেবা পায়। সচিবদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
এ বিষয়ে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক এবং কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।