বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: এবার জড়াল শিল্পী তাহসানের মায়ের নাম! 

প্রকাশকালঃ ১০ জুলাই ২০২৪ ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ ৫৪৯ বার পঠিত
বিসিএসের প্রশ্নফাঁস: এবার জড়াল শিল্পী তাহসানের মায়ের নাম! 

সম্প্রতি দেশজুড়ে তোলপাড় চলেছে বিসিএসে প্রশ্ন ফাঁসকাণ্ডে। বিসিএস ও বিভিন্ন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় একটি চক্র প্রশ্ন ফাঁস করে আসছে এমন প্রকাশের পর গ্রেপ্তার করা হয় পিএসসির কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ ১৭ জনকে। আর এবার এই প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে জড়িয়ে পরেছে জনপ্রিয় অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী তাহসান খানের মায়ের নাম।

 

এই প্রশ্ন ফাঁস কাণ্ডে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তি সৈয়দ আবেদ আলী। জানা যায়, এ আবেদ আলী ছিলেন সংগীতশিল্পী তাহসান খানের মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগমের গাড়ির চালক। তাহমিদা বেগম যখন পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন তার ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন সৈয়দ আবেদ আলী।


মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। 

 

ড. মোহাম্মদ সাদিক জানান, ‘আমি পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের আগে পিএসসির সদস্য ছিলাম। আমি যোগদানের আগে ওই লোকের (আবেদ আলী) চাকরি গেছে বলে শুনেছি। ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ও এটিএম আহমেদুল হক চৌধুরী যখন পিএসসি চেয়ারম্যান ছিলেন তখন আবেদ পিএসসির চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক ছিলেন। ইকরাম আহমদ যখন চেয়ারম্যান ছিলেন তখন আবেদ বরখাস্ত হন। পরে তাকে চাকরিচ্যুতও করা হয়।’


 

জানা গেছে, প্রফেসর ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ছিলেন ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ছিলেন সরকারি কর্ম কমিশনের অষ্টম চেয়ারম্যান। তার দায়িত্বকালেই ২০০২ সালের ৯ মে তিনি পিএসসি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন এবং ২০০৭ সালের ৭ মে পর্যন্ত এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।


 

উল্লেখ্য, তিনি দায়িত্ব নেয়ার পরই ২৪তম (২০০২-২০০৩) বিসিএস পরীক্ষার সবচেয়ে বড় প্রশ্নফাঁস কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠে। এমনকি সেই পরীক্ষাও বাতিল করা হয়। সেবছর ২৪তম বিসিএসে পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী তাহসান খান। পরে দুর্নীতির জন্য আবারও বিসিএসের ভাইভা অনুষ্ঠিত হলে বাদ পড়েন তাহসান খান।

 

জানা যায়, প্রফেসর ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম যখন পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন তখন সৈয়দ আবেদ আলী ছিলেন পিএসসির চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গাড়িচালক হন। সে সময় থেকেই মূলত সৈয়দ আবেদ আলী প্রশ্নফাঁস চক্রে জড়িয়ে পড়েন। এরপর দীর্ঘসময় ধরে তিনি একটি চক্রের সঙ্গে প্রশ্ন ফাঁস করে আসছিলেন। তবে, ওই সময়ে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরেই ছিলেন।


তবে, ২০১৪ সালে আবদে আলীর বিরুদ্ধে নন-ক্যাডারের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। এবং তা প্রমাণিত হওয়ায় পিএসসির চাকরি থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

 

পিএসসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নন-ক্যাডারে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘সহকারী মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার’ পদের লিখিত পরীক্ষা ২০১৪ সালে ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। সেই পরীক্ষায় এক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে হলের বাহির থেকে অবৈধভাবে সরবরাহকৃত সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তরসহ ৪টি লিখিত উত্তরপত্র হাতে নাতে ধরা হয়। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ আইনের ধারায় মামলা করা হয়। ওই মামলার তদন্তে সৈয়দ আবেদ আলীর সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য-প্রমাণ মেলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।