ঢাকা প্রেস নিউজ
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) শিক্ষার্থীদের ভূমিকা জুলাই বিপ্লবে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে, মন্তব্য করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, “আপনারা বিপ্লবে যে ভূমিকা পালন করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাতে পারিনি, তবে আপনাদের অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ঢামেকের শহীদ ডা. মিলন অডিটোরিয়ামে ‘জুলাই বিপ্লবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার পর প্রথমদিকে আমি কিছুটা আতঙ্কিত ছিলাম, তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আমাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল। ১৫ জুলাই যখন আমরা আন্দোলনের ঘোষণা করি, তখন উদ্বেগ ছিল, কিন্তু ১৬ জুলাই সকালে রাজু ভাস্কর্যে ঢামেকের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে অংশগ্রহণ দেখে আমরা উৎসাহিত হই।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম বলেন, “বিপ্লবে ঢামেকের বড় অবদান থাকলেও ৫ আগস্টের পরে আমরা যথাযথ স্বীকৃতি দিতে পারিনি। আজকের আয়োজনের মাধ্যমে আমরা জাতির সামনে সেই অবদান তুলে ধরার চেষ্টা করছি।”
তিনি আরও মন্তব্য করেন, “এখন আমাদের দেশের প্রতিটি খাতে রাজনীতি প্রবেশ করেছে। আমরা বাংলাদেশি হিসেবে একত্রিত হতে পারি না, বরং দলীয় পরিচয়ে নিজেদের পরিচিত করতে পছন্দ করি। আওয়ামী লীগ প্রতিটি খাতে রাজনীতি প্রবেশ করিয়েছে এবং স্বাস্থ্য খাতটিকেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে। আমরা চিকিৎসা খাতে আর কোনো রাজনীতি চাই না।”
এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. কামরুল আলম, অর্থপেডিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য বক্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি উপলক্ষে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের স্মৃতিচারণা তুলে ধরেন।