সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় মানি লন্ডারিং বিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা চীনের অবৈধ জুয়া কার্যক্রমের জড়িত

প্রকাশকালঃ ২২ আগu ২০২৩ ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ ১৫৫ বার পঠিত
সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় মানি লন্ডারিং বিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা চীনের অবৈধ জুয়া কার্যক্রমের জড়িত

সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় মানি লন্ডারিং বিরোধী অভিযানে গত মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হয়েছেন কয়েকজন বিদেশি। তদন্তে জানা গেছে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা চীনের অবৈধ জুয়া কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত।

দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভ্যাং শুইমিং নামে এক ব্যক্তি জালিয়াতির অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি চীনের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পলাতক আট ব্যক্তিদের সহযোগী বলে জানা গেছে। ওই ব্যক্তিরা ২০২২ সালের মে মাসে চীনে অবৈধ জুয়ার সিন্ডিকেট পরিচালনা করতো।

পলাতক ওই ৮ ব্যক্তিরা হলেন ওয়াং শুইটিং, শি ওয়েনহুই, ওয়াং ঝিকিয়াং, জিয়া জুয়েলিয়াং, ওয়াং জিনওয়াং, ওয়াং জাইয়ুয়ান, সু ওয়েইজি এবং হুয়াং ইজিয়াও। তদন্তে সহায়তার জন্য তাদের ফেরত আসার আহ্বান জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, তিন চীনা নাগরিক অবৈধ জুয়ার সাইট পরিচালনায় জড়িত থাকায় কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা করেছিল।


পরবর্তীতে অভিযুক্তরা তাদের ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১৪ সালে কম্বোডিয়ার বাভেট শহরে কার্যক্রম স্থানান্তরিত করে। শহরটি ভিয়েতনাম সীমান্তের কাছে অবস্থিত। তাদের সাইটে কাজ করার জন্য বিভিন্ন কাজে চীনা নাগরিকদেরও একসময় নিয়োগ দিতে থাকে।

২০১৫ সালে চীনের একটি জেলা আদালত অবৈধ সাইট চালানোর জন্য দুই ব্যক্তিকে জরিমানা এবং তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। এই চক্রের আরও বেশ কয়েকজন সদস্যকেও জেলে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সিঙ্গাপুরের অভিজাত এলাকা বুকিত টিমাহ, অর্চার্ড রোড, সেন্টোসা এবং রিভার ভ্যালির বিলাসবহুল অ্যাপার্টম্যান্টগুলোতে একযোগে অভিযান চালায় সিঙ্গাপুর পুলিশ ফোর্স (এসপিএফ)। আচমকা অভিযানে জব্দ করা হয় ১০০ কোটি ডলার মূল্যের সম্পদ।


এছাড়াও ৯৪টি ভূসম্পত্তি, ৫০টি গাড়ি, ২৫০টি নামিদামি ব্র্যান্ডের ব্যাগ, ঘড়ি, ২৭০টি মূল্যবান অলংকার, ইলেকট্রনিক ডিভাইস, মদের বোতল, নগদ অর্থসহ ১১টি গুরত্বপূর্ণ নথিপত্র জব্দ করা হয়। ঘটনায় এক নারীসহ ১০ পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা চীন, তুরস্ক, কম্বোডিয়া, সাইপ্রাস ও ভানুয়াতুর নাগরিক। তাদের মধ্যে আটজন এখনো পলাতক এবং পুলিশের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড লিস্টে’ রয়েছেন। অপরাধীদের অর্থ স্থানান্তর ঠেকাতে ৩৫টির বেশি অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করে কর্তৃপক্ষ। সেই অ্যাকাউন্টগুলোয় ১১০ মিলিয়নের বেশি অর্থ রয়েছে। মামলায় তদন্ত করতে দেশের বাণিজ্যবিষয়ক বিভাগ অনেক সহযোগিতা করছে। 

সিঙ্গাপুরের মনিটারি অথরিটি অনুসারে, সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ প্রমাণিত হলে সিঙ্গাপুরের আইন অনুযায়ী ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।