দাঁড়িপাল্লা প্রতীক টাঙানোকে কেন্দ্র করে আলমডাঙ্গায় সংঘর্ষ, আহত ১১

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ১২:২৮ অপরাহ্ণ   |   ৩০ বার পঠিত
দাঁড়িপাল্লা প্রতীক টাঙানোকে কেন্দ্র করে আলমডাঙ্গায় সংঘর্ষ, আহত ১১

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার শ্যামপুর গ্রামে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে তৈরি জামায়াতের প্রতীকী দাঁড়িপাল্লা টাঙানোকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে শুরু হওয়া এ ঘটনায় নারী ইউপি সদস্যসহ অন্তত ১১ জন আহত হন। এ সময় দু’টি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। আহতদের আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতদের পরিচয়

বিএনপি পক্ষের আহতরা হলেন—

  • আলমডাঙ্গা পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম কনক

  • সদস্য সাজাহান ও আলিম

  • কুমারী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাইজেল হোসেন

  • ১ নম্বর ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্য রোকসানা খাতুন ও তাঁর স্বামী রাশিদুল ইসলাম

জামায়াত পক্ষের আহতরা হলেন—

  • শ্যামপুর গ্রামের হারুনের ছেলে মুরাদ আলি

  • মাহাতাবের ছেলে আরিফ হোসেন

  • পলাশের ছেলে লাল্টু রহমান

  • সাদেক আলির ছেলে ওল্টু হোসেন ও তাঁর মেয়ে ফাতেমা খাতুন

ঘটনার বিবরণ

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, বিকেলে জামায়াতপন্থীরা দলীয় প্রতীকের আদলে দাঁড়িপাল্লা টাঙাতে গেলে বিএনপি নেতা রাশিদুল ইসলামের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। পরে উভয় পক্ষের কর্মীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। অভিযোগ রয়েছে, কিছুক্ষণ পর পৌর যুবদলের কয়েকজন জামায়াত নেতা ওল্টুর বাড়িতে হামলা চালালে তিনি ও তাঁর মেয়ে আহত হন। পাল্টা হামলার জেরে সংঘর্ষ আরও বিস্তার লাভ করে।

দুই পক্ষের মন্তব্য

আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম রোকন অভিযোগ করে বলেন,

“জামায়াতের ব্যানারে যুবলীগের কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের ছয়জন নেতাকর্মী বর্তমানে চিকিৎসাধীন।”

অন্যদিকে উপজেলা জামায়াতের আমির শফিউল আলম বকুল জানান,

“দাঁড়িপাল্লা টাঙাতে গেলে বিএনপির মহিলা ইউপি সদস্য ও তাঁর স্বামী বাধা দেন। পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা আমাদের বাড়িতে হামলা করে, এতে সংঘর্ষ বাধে।”

চিকিৎসকের বক্তব্য

আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফারুক হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাতে তিনজন ও বুধবার ভোরে আরও একজন ভর্তি হন। নারী ইউপি সদস্যসহ তিনজনের মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে। অপর একজন হাতের আঘাতে চিকিৎসাধীন।

পুলিশের অবস্থান

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান,

“খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি পৃথক লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”