বাংলা নাট্যজগতের প্রথিতযশা অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত এখন অনেকটাই বেছে বেছে কাজ করছেন। বয়সের ভারে আগের মতো টানা কাজ করা সম্ভব না হলেও ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে এখনও অভিনয়ের প্রতি তাঁর আগ্রহ অটুট। তাঁর ভাষায়, ‘এখন শরীর আগের মতো সাড়া দেয় না, তাই বিশ্রামের প্রয়োজন হয়। তবে অভিনয় ছেড়ে থাকাও যায় না। ভালো গল্প পেলে কাজ করতেই ভালো লাগে।’
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিভিশনের দুটি নাটকে অভিনয় করেছেন এই গুণী শিল্পী। একটি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের একক নাটক ‘দ্রোহ’, অন্যটি ঢাকা কেন্দ্রের ধারাবাহিক নাটক ‘ধূসর প্রজাপতি’। দ্বিতীয় নাটকটির রচনা ও পরিচালনায় রয়েছেন অভিনেতা ও নির্মাতা তৌকীর আহমেদ।
‘দ্রোহ’ নাটকটি রচনা করেছেন আহসান আলমগীর এবং পরিচালনায় ছিলেন ইলন সফির। গত ২৫ ও ২৬ জুলাই নাটকটির শুটিং হয়েছে চট্টগ্রামের বিটিভি ভবনে। এতে আবুল হায়াত ছাড়াও অভিনয় করেছেন আরজুমান্দ আরা বকুল, হাফিজুর রহমান সুরুজ, রমিজ রাজু, সৈয়দা নওশীন ইসলাম দিশা ও মারিয়া ফারিহা উপমা।
এই নাটক প্রসঙ্গে আবুল হায়াত বলেন, ‘এটা জীবনের খুব কাছের গল্প। বাস্তবধর্মী কনটেন্টে কাজ করতে সবসময়ই ভালো লাগে। আর চট্টগ্রামে গিয়ে কাজ করার আলাদা আনন্দ আছে, কারণ সেখানে সবাই মিলে এক ধরনের মিলনমেলার পরিবেশ তৈরি হয়।’
অন্যদিকে ‘ধূসর প্রজাপতি’-এর শুটিং হয়েছে গাজীপুরের নক্ষত্রবাড়ি রিসোর্টে। এ নাটকে আবুল হায়াতের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন শ্যামল মাওলা, আইশা খান, দিলারা জামান, ডলি জহুর, মীর রাব্বি, সাবরিনা আজাদ ও তনুশ্রী দত্ত।
শুধু অভিনয়েই নয়, নির্মাণেও ফিরছেন আবুল হায়াত। আগামী মাসের শুরুতেই তাঁর একটি বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং রয়েছে। এছাড়া তিনি নতুন একটি নাটক নির্মাণের পরিকল্পনা করছেন। নাটকটির গল্প হতে পারে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুনের লেখা থেকে, অথবা তাঁর নিজের লেখা গল্প থেকে। গল্প চূড়ান্ত হলে চিত্রনাট্যের কাজ শুরু করবেন, এরপরই ক্যামেরা চালু হবে।
অভিনয় ও নির্মাণ—দু’টো ক্ষেত্রেই এখনও সমানভাবে সক্রিয় আবুল হায়াত। বয়স যেন কেবলই একটি সংখ্যা; সময়ের পরিক্রমায় তিনি রয়ে গেছেন প্রেরণার জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।