টানা আট দিনের আন্দোলনের পর রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে অর্থ মন্ত্রণালয় নতুন সিদ্ধান্ত জানায়—এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে সর্বনিম্ন পরিমাণ হবে ২ হাজার টাকা। সরকার জানায়, বাজেটের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন ভাতা নভেম্বর মাস থেকে কার্যকর হবে।
নির্ধারিত ন্যূনতম ২ হাজার টাকা বিবেচনায় দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি বাড়ি ভাড়া ভাতা পাবেন ২০ গ্রেডের শিক্ষক-কর্মচারীরা—যা মূল বেতনের ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ।
এরপর যথাক্রমে—
১৯ গ্রেডে ২৩ দশমিক ৫ শতাংশ
১৮ গ্রেডে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ
১৭ গ্রেডে ২২ দশমিক ২ শতাংশ
১৬ গ্রেডে ২১ দশমিক ৫ শতাংশ
১৫ গ্রেডে ২০ দশমিক ৬ শতাংশ
১৪ গ্রেডে ১৯ দশমিক ৬ শতাংশ
১৩ গ্রেডে ১৮ দশমিক ২ শতাংশ
১২ গ্রেডে ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ
১১ গ্রেডে ১৬ শতাংশ
১০ গ্রেডে ১২ দশমিক ৫ শতাংশ
৯ গ্রেডে ৯ দশমিক ১ শতাংশ
৮ গ্রেডে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ
৭ গ্রেডে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ
৬ গ্রেডে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ
৫ ও ৪ গ্রেডের শিক্ষক-কর্মচারীরা পাবেন ৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া ভাতা।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশে বাড়ি ভাতা প্রদানে কিছু শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো—
১. বাড়ি ভাড়া ভাতা পরবর্তী জাতীয় বেতনস্কেলের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।
২. সংশ্লিষ্ট এমপিও নীতিমালা (স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও ভোকেশনাল) এবং সরকারের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুসারে নিয়োগ ও শর্তাবলি মেনে চলতে হবে।
৩. এ ভাতার ক্ষেত্রে শিক্ষক-কর্মচারীরা কোনো প্রকার বকেয়া প্রাপ্য হবেন না।
৪. ভাতা প্রদানের সময় সব ধরনের আর্থিক বিধি-বিধান কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
৫. এ ভাতার ব্যয়ে কোনো অনিয়ম প্রমাণিত হলে বিল পরিশোধকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
৬. প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারি করা জি.ও অর্থ বিভাগে পৃষ্ঠাংকনের জন্য পাঠাতে হবে।
তবে ৫ শতাংশ (সর্বনিম্ন ২ হাজার টাকা) বাড়ি ভাড়া ভাতা ঘোষণায় সন্তুষ্ট নন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। তারা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে পূর্বের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।