রাতারাতি কোটিপতি! ডিবি হারুনের ছায়ায় মোকারম সরদারের উত্থান

প্রকাশকালঃ ২০ আগu ২০২৪ ০৭:১৫ অপরাহ্ণ ৫৬৬ বার পঠিত
রাতারাতি কোটিপতি! ডিবি হারুনের ছায়ায় মোকারম সরদারের উত্থান

ঢাকা প্রেস নিউজ


নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একসময় মাত্র ৮০ টাকা দিনে কাজ করতেন মোকারম সরদার। পরে শ্রমিক লীগ নেতা বনে যাওয়া এই ব্যক্তি এখন কয়েকশ কোটি টাকার মালিক! অনেকেই প্রশ্ন করছেন, এতো কম সময়ে এতো বিপুল পরিমাণ সম্পদ কীভাবে অর্জন করলেন তিনি? উত্তর খুঁজতে গিয়ে সামনে আসে সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের নাম।

 

মোকারমের উত্থান ও হারুনের ছায়া:

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোকারম সরদার আসলে সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের অবৈধ সম্পদের কেয়ারটেকার ছিলেন। হারুনের ছত্রছায়ায় তিনি রাতারাতি কোটিপতি বনে যান। বিষয়টি প্রকাশ পেলে আত্মগোপন করেন মোকারম।
 

নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান:

আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হল, হারুন অর রশিদ তার অবৈধ টাকার জোরে মোকারমকে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বানিয়েছেন। যার কোনো শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই, তিনি কীভাবে এমন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসতে পারলেন, তা নিয়ে সারা এলাকায় তোলপাড় চলছে। অনেকেই মনে করেন, এটি হারুনের অবৈধ সম্পদ রক্ষা করার একটি কৌশল মাত্র।
 

জাহাজের পণ্য চোরাই সিন্ডিকেট:

মোকারম সরদারের আয়ের অন্যতম উৎস ছিল জাহাজের পণ্য চুরি। তিনি বুড়িগঙ্গায় জাহাজ থেকে চুরি করা চাল, ডাল, গম, পাথর, কয়লা ইত্যাদি বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ টাকা আয় করতেন। এতে তিনি স্থানীয় নেতাদেরও ভাগ দিতেন।
 

হারুন ও মোকারমের ঘনিষ্ঠতা:

হারুন অর রশিদ নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সুপার থাকাকালীন মোকারমের লেবার অফিসে প্রায়ই যেতেন। তাদের একসঙ্গে টাকাপয়সার হিসাব করতে দেখা গেছে। এরপর থেকেই মোকারমের সম্পদ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
 

মোকারমের বিপুল সম্পদ:

মোকারম সরদারের কাছে বহুতল ভবন, জমি, দামি গাড়ি, এমনকি একটি সিনেমা প্রযোজনা করার মতো অর্থ রয়েছে। তবে তার নির্বাচনি হলফনামায় দেওয়া তথ্য সঙ্গতিপূর্ণ নয়। স্থানীয়রা দাবি করেন, তিনি তার আসল সম্পদের পরিমাণ গোপন করেছেন।

 

ডিবি হারুনের ছায়ায় মোকারম সরদারের রাতারাতি উত্থান একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এটি বাংলাদেশের রাজনৈतिक দুর্নীতির একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। এই ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিচার করা উচিত।