শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ   |   ২৭ বার পঠিত
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে মাহমুদুর রহমান

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়েছেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। জুলাই অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে তিনি আজ সাক্ষ্য দেবেন।
 

এর আগে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানান, নির্ধারিত দিনে মাহমুদুর রহমান ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম নাহিদের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। তবে ব্যক্তিগত কারণে তারা উপস্থিত হতে পারেননি। পরে প্রসিকিউশনের সময় প্রার্থনার পর বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ধার্য করে।
 

প্রসিকিউটর তামিম বলেন, এ মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষ থেকে ৮১ জন সাক্ষীর তালিকা দাখিল করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ৪৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। এখন ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট বর্ণনাকারী কয়েকজন সাক্ষী, সিজার লিস্টের সাক্ষী ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের পর আর সাক্ষ্য নেওয়া হবে না। তার মতে, বাকি কয়েকজন সাক্ষীর জবানবন্দিই মামলাটি প্রমাণের জন্য যথেষ্ট হবে, এরপর যুক্তিতর্কে যাওয়া হবে।
 

তিনি আরও জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধ প্রমাণের ক্ষেত্রে দেখাতে হবে—এগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন হত্যাকাণ্ড নয়; বরং সুসংগঠিত ও ব্যাপকভাবে সারাদেশে একই ধাঁচে সংঘটিত হয়েছে। কেবল জুলাই ২০২৪ নয়, এসব অপরাধের শুরু হয়েছিল ২০০৯ সাল থেকে এবং ধাপে ধাপে বিভিন্ন আঙ্গিকে চলতে থাকে, যা শেষ হয় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে।
 

তামিম বলেন, মাহমুদুর রহমান ও নাহিদ ইসলাম বর্ণনা করবেন কীভাবে ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত এসব অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
 

উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সুপিরিয়র কমান্ড রেসপন্সিবিলিটি বা ঊর্ধ্বতন নির্দেশনার দায়ে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। ৩ আগস্ট প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্যের পর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। শেখ হাসিনা ছাড়া মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। মামুন ইতিমধ্যে দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন।
 

এ মামলায় এ পর্যন্ত ৪৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালকে পলাতক আসামি দেখিয়ে বিচারকাজ চলছে। তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অ্যাডভোকেট মো. আমির হোসেন।