ঢাকা প্রেস
অনলাইন ডেস্ক
বর্ষাকালে আচার ভালো রাখা একটু কঠিন হতে পারে। কারণ এই সময় আবহাওয়া থাকে আর্দ্র, যার ফলে আচারে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। তবে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে আপনি দীর্ঘদিন ধরে আচার ভালো রাখতে পারবেন।
আচার রাখার পাত্র:
কাঁচের বয়াম ব্যবহার করুন: প্লাস্টিকের বয়ামের চেয়ে কাঁচের বয়ামে আচার বেশিদিন ভালো থাকে। কারণ কাঁচ পরিষ্কার করা সহজ এবং এতে ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর সম্ভাবনা কম থাকে।
ঢাকনা ভালোভাবে বন্ধ রাখুন: আচারের বয়ামের ঢাকনা সবসময় ভালোভাবে বন্ধ রাখুন। এতে বাইরের বাতাস ও আর্দ্রতা আচারের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না।
নিয়মিত পরিষ্কার করুন: প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার আচারের বয়াম ও ঢাকনা ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। এতে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর সম্ভাবনা কমবে।
আচার তৈরির সময়:
ভালো মানের উপাদান ব্যবহার করুন: আচার তৈরির সময় সবসময় ভালো মানের ফল, শাকসবজি ও মসলা ব্যবহার করুন।
পরিমাণমত লবণ ও তেল ব্যবহার করুন: লবণ ও তেল আচারের প্রাকৃতিক প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে। তাই আচার তৈরির সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণ ও তেল ব্যবহার করুন।
সঠিকভাবে ফুটিয়ে নিন: আচারের মসলা ও তেল ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। এতে ব্যাকটেরিয়া মারা যাবে।
শুকনো করে নিন: আচারের উপকরণগুলো ভালোভাবে শুকিয়ে নিয়ে তারপর আচার তৈরি করুন।
আচার সংরক্ষণ:
শীতল ও শুষ্ক জায়গায় রাখুন: আচার সবসময় শীতল ও শুষ্ক জায়গায় রাখুন। রোদে বা আলোতে রাখলে আচারের রঙ ও স্বাদ নষ্ট হতে পারে।
ফ্রিজে রাখুন: দীর্ঘদিন ধরে আচার ভালো রাখতে চাইলে ফ্রিজে রাখুন। তবে ফ্রিজ থেকে বের করে আচার বেশিক্ষণ বাইরে রাখবেন না।
হাত দিয়ে নাড়বেন না: আচার হাত দিয়ে নাড়বেন না। বরং পরিষ্কার চামচ ব্যবহার করে আচার নিন।
আচার তৈরির আগে ফল ও শাকসবজি ভালোভাবে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। আচার তৈরির সময় পরিষ্কার পোশাক ও রান্নাঘর ব্যবহার করুন। ছোট ছোট বয়ামে আচার রাখুন। একবার খোলা আচার দ্রুত শেষ করে ফেলুন।
**উপরে উল্লেখিত টিপসগুলো মেনে চললে আপনি বর্ষাকালেও দীর্ঘদিন ধরে আচার ভালো রাখতে পারবেন।