কুড়িগ্রামে ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১২:৩০ অপরাহ্ণ   |   ৯৭ বার পঠিত
কুড়িগ্রামে ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:-


 

কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালাতাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 
 

নিহত শিক্ষার্থীর নাম ফাতেমা আক্তার (১১) ওই গ্রামের নুর হোসেন ও তুলি বেগম দম্পতির একমাত্র কন্যা এবং বালারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। 
 

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নুর হোসেন চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন। ১১ বছরের ফাতেমা এবং সাত বছরের একটি ছেলে সন্তানসহ বাড়িতে থাকেন তুলি বেগম।
 

বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির পাশে এক প্রতিবেশীর পুকুরে মাছ কুড়াতে যান তুলি বেগম। মাছ নিয়ে এসে বাড়িতে রেখে আবারও ছাগলের জন্য পাতা আনতে বাহিরে যান। পাতা নিয়ে বাড়িতে এসে ফাতেমাকে ডাক দিলে মেয়ের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ঘরে ঢুকে দেখতে পান আঁড়ার সাথে মেয়ের নিথর দেহ ঝুলছে। পরে তুলি বেগমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ নিচে নামায়। 
 

খবর পেয়ে কুড়িগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (নাগেশ্বরী সার্কেল) মোজাম্মেল হক ও ফুলবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলামসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। পরে সন্ধ্যা ৭টায় শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর জন্য ফুলবাড়ী থানায় নিয়ে আসা হয়।
 

নিহত শিক্ষার্থীর মা তুলি বেগম জানান, মাছ কুড়িয়ে এনে ঘরে রাখার সময়ও ফাতেমা ঘরে ছিল। তাকে বাড়িতে রেখে ছাগলের খাবারের জন্য পাতা আনতে বাহিরে যাই। কিছুক্ষণ পর এসে দেখি ঘরের আঁড়ার সাথে ওড়না গলায় পেঁচানো অবস্থায় তার লাশ ঝুলছে। পরে আমার চিৎকার চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীরা এসে ঝুলন্ত লাশ নামিয়ে ফেলে। 
 

সহকারী পুলিশ সুপার (নাগেশ্বরী সার্কেল) মোজাম্মেল হক জানান, এটি হত্যা না আত্নহত্যা তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। নিহত শিশু শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য মরদেহ কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হবে।