আওয়ামী লীগের এমপিরা প্রার্থী ‘মনোনয়ন’ দিচ্ছেন

প্রকাশকালঃ ২৮ মার্চ ২০২৪ ১০:১০ পূর্বাহ্ণ ১৮৪ বার পঠিত
আওয়ামী লীগের এমপিরা প্রার্থী ‘মনোনয়ন’ দিচ্ছেন

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ঠিক চার মাসের মাথায় প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৫২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। বিএনপি ও তাদের মিত্র দলগুলোর বর্জনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনকে দেশে-বিদেশে অংশগ্রহণমূলক দেখাতে দল মনোনীত প্রার্থীদের পাশাপাশি দলীয় নেতাদেরও প্রার্থী হতে পারাকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। প্রায় একই কৌশলে এবার উপজেলা নির্বাচনকেও অংশগ্রহণমূলক দেখাতে চায় আওয়ামী লীগ। 
 

এজন্য এবার উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলটি দলীয়ভাবে প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, দলীয় সেই সিদ্ধান্তকে ‘কৌশলী আমলে’ নিয়ে আওয়ামী লীগের এমপি এবং ‘দলীয়-স্বতন্ত্র’ এমপিদের বেশিরভাগই নিজ নির্বাচনি এলাকার উপজেলাসমূহে পছন্দের লোককে চেয়ারম্যান ও ভাইস- চেয়ারম্যান পদে ‘মনোনয়ন’ দিচ্ছেন।

 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের জন্য আওয়ামী লীগের ‘দলীয় প্রার্থী’ হিসেবে দু’জনের নাম ঘোষণা করেছেন স্থানীয় এমপি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। মঙ্গলবার স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রের ইয়ুথ ইন চত্বরে কুয়াকাটা পৌরসভা ও পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, ‘আগামী উপজেলা নির্বাচনে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা দল থেকে, আওয়ামী লীগ থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে আওয়ামী লীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক ত্যাগী নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব তালুকদারকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি। এছাড়া ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. ইউসুফ আলীকে দল থেকে মনোনীত করেছি।’ এই ঘোষণা দিয়ে তিনি উপস্থিত সবার সামনে ওই দু’জনকে পরিচয় করিয়ে দেন। 

 

জানা গেছে, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমানের মতো আওয়ামী লীগের সরাসরি দলীয় ও ‘দলীয়-স্বতন্ত্র’ এমপিদের অনেকেই নিজ-নিজ উপজেলায় পছন্দের লোককে নিজের প্রার্থী হিসেবে ‘মনোনয়ন’ দিচ্ছেন।

 

এদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছোট এবং ‘কিংস পার্টি’ হিসেবে পরিচিত নতুন দলগুলো উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় প্রার্থী দিলেও আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে তাদেরও আগ্রহ নেই। এ নির্বাচনে প্রার্থীদের জামানতের পরিমাণ ১০ গুণ বাড়িয়ে দেওয়ার বিষয়টিও অন্যতম একটি কারণ। দলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যাদের আর্থিক সামর্থ্য এবং জনপ্রিয়তা রয়েছে তারাই প্রার্থী হবেন। এখানে দলের মনোনয়নের প্রয়োজন  নেই। গতবারের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়নি চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলটি অংশ নেয়নি। আসন্ন উপজেলা নির্বাচনেও দলটি প্রার্থী দেবে না বলে জানা গেছে।

 

প্রসঙ্গত, বিদ্যমান আইনে উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান- এই তিন পদেই রাজনৈতিক দল থেকে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার বিধান রয়েছে। নির্বাচন কমিশন এরইমধ্যে যেসব রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে প্রার্থী দিতে চায়, সেসব দলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারীদের অথবা তাদের কাছ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্তদের স্বাক্ষরসহ তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে।