রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "হালাল রুজি অর্জন করা ফরজের পর একটি ফরজ।" (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
ইসলামে, হালাল উপার্জনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়। কোন নির্দিষ্ট পেশার চেয়ে হালাল উপায়ে অর্থ উপার্জন করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একজন মুমিনের জন্য হালাল পন্থায় অর্জিত সম্পদই সর্বোত্তম সম্পদ। ইতিহাসে সকল নবী-রাসুলেরই কোন না কোন পেশা ছিল। তারা অন্যের উপর নির্ভরশীল ছিলেন না এবং কোন কাজকে ছোট মনে করতেন না। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "আল্লাহ যত নবীই প্রেরণ করেছেন, সবাই মেষ চরিয়েছেন।" (মুসনাদে আহমাদ)
আদম (আ.), লুত (আ.) ও ইউনুস (আ.) চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। হজরত শিশ (আ.)ও ছিলেন একজন কৃষক। তাঁর পৌত্র মাহলাইল সর্বপ্রথম গাছ কেটে জ্বালানি কাজে ব্যবহার করেন। ইদরিস (আ.) কাপড় সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। একদল পণ্ডিত মনে করেন, হিকমত ও জ্যোতির্বিদ্যার জন্ম ইদরিস (আ.)-এর সময়ই হয়েছিল। নুহ (আ.) ও জাকারিয়া (আ.) ছিলেন কাঠমিস্ত্রি। হুদ (আ.) জীবিকা নির্বাহ করতেন ব্যবসা ও পশু পালন করে। সালেহ (আ.)-এর পেশাও ছিল ব্যবসা ও পশু পালন।
ইবরাহিম (আ.), শোয়াইব (আ.), হারুন (আ.), আইউব (আ.), জুলকিফল (আ.), ইয়াকুব (আ.), ইয়াসা (আ.), ইলিয়াস (আ.) পশু পালন করতেন। ইসমাইল (আ.) পশু শিকার করতেন। দাউদ (আ.)-এর পেশা ছিল যুদ্ধাস্ত্র, লৌহবর্ম ও দেহবস্ত্র প্রস্তুত করা। সুলাইমান (আ.) ছিলেন সমগ্র পৃথিবীর শাসক ও নবী। মুসা (আ.) ছিলেন একজন রাখাল। মহানবী (সা.) ছিলেন একজন সফল ও সৎ ব্যবসায়ী। তিনি ছোট বেলায় মেষও চরিয়েছেন।
আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের উক্তি, "কোন কাজ ছোট নয়। ছোট সে, যে কাজকে ছোট ভেবে অহেতুক বিদ্রুপ করে।" ইসলামে সকল পেশাই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। হালাল উপায়ে অর্থ উপার্জন করাই মুমিনের জন্য মূল লক্ষ্য। কোন কাজকে ছোট মনে করা উচিত নয়। প্রত্যেকের পরিশ্রমই সম্মানিত এবং সমাজের জন্য অবদান রাখে।