প্রকাশকালঃ
০৪ এপ্রিল ২০২৩ ০১:২০ অপরাহ্ণ ১০৯৫ বার পঠিত
বর্তমানে বয়স্কদের পাশাপাশি কমবয়সী অনেকের ব্যাক পেইন হতে দেখা যায়। এর একটি কারণ হতে পারে দীর্ঘসময় ঝুঁকে বসে কাজ করা। এখন তো বেশিরভাগই ডেস্কটপ কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করেন। আর কাজ করার সময় সেখান থেকে খুব একটা ওঠেনও না। পেশীর নড়াচড়া একেবারে হয় না বললেই চলে।
সাধারণত ব্যাক পেইন শুধু পিঠে ও মেরুদণ্ডে যন্ত্রণা দিয়েই শেষ হয়ে যায় না। এরসঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য, হজম না হওয়া, বমি ভাব ইত্যাদিও চলে আসে। পেইন কিলার খেলে সাময়িক মুক্তি পাওয়া যায়, তবে তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তো থাকেই। আবার একটানা পেইনকিলার খাওয়া খুবই ক্ষতিকর অভ্যাস হিসেবে বিবেচিত হয়। সেক্ষেত্রে ব্যাক পেইন থেকে মুক্তি পেতে অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ ডা. হীরন পাল কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। চলুন সে সম্পর্কে জেনে নেই-
১. ব্যাক পেইন হলে আপাতত সেটি সরিয়ে রাখুন। বালিশে মাথা রেখে ঘুমালে শরীরের সঠিক ভঙ্গির অভাবে ব্যথা আরও বেড়ে যায়। তাই ব্যাক পেইন কমাতে আপাতত মাথার নিচে বালিশ ছাড়াই ঘুমানোর অভ্যাস করুন।
২. সুস্থ থাকতে চাইলে শরীরচর্চা বাদ দিয়ে দিলে হবে না। প্রতিদিন কিছু ব্যায়ামের অভ্যাস অবশ্যই করতে হবে। তার মধ্যে মকরাসন, শলাভাসন, মার্কাতাসন ইত্যাদি অবশ্যই করবেন। নিয়মিত এসব ব্যায়াম মেনে চললে ব্যাক পেইন থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন।
৩. এক জায়গায় দুই ঘণ্টার বেশি বসে থাকবেন না। সবচেয়ে ভালো হয় ঘণ্টাখানেক পরপর ৫ মিনিটের বিরতি নিলে। এক্ষেত্রে একটু হাঁটুন, কফি খান,পানি খান। সোজা কথা বিরতি নিন।
৪. ব্যাক পেইন হলে প্রথমেই পেইন কিলার না খেয়ে অলিভ অয়েলের সঙ্গে সামান্য লবণ যোগ করে মালিশ করতে পারেন। এছাড়া সর্ষের তেল কিংবা তিলের তেলও ব্যবহার করতে পারেন।