সরকারি সোয়া কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৬

প্রকাশকালঃ ২৩ মে ২০২৩ ১২:৫০ অপরাহ্ণ ১২০ বার পঠিত
সরকারি সোয়া কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৬

রাজধানীর কাফরুল, মিরপুর গাজীপুর সদর এলাকা থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে ্যাব। তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারি প্রায় সোয়া কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।র্যাব বলছে, ছয়জনের চক্রটি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সিএনএস লিমিটেড বাংলাদেশের পেমেন্ট গেটওয়ের দুর্বলতা জেনে হ্যাকিং সফটওয়্যার তৈরি করেন। তাঁরা নকল কোড ব্যবহার করে ৩৮৯টি রসিদ (মানি রিসিপ্ট) তৈরি করে সরকারি প্রায় সোয়া কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। 

আজ সোমবার দুপুরে কারওয়ান বাজার ্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ এসব তথ্য জানানো হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কম্পিউটার প্রকৌশলী চক্রের মূল হোতা শাহরিয়ার ইসলাম (২৬), তাঁর অন্যতম সহযোগী আজীম হোসেন (২৭), শিমুল ভূঁইয়া (৩২), রুবেল মাহমুদ (৩৩), ফয়সাল আহাম্মদ (২৩) আনিচুর রহমান (২৩)

্যাবের আইন গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন  বলেন, বিআরটিএর প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সিএনএস গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন, লাইসেন্স নবায়নসহ বিভিন্ন কাজে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে। এসব টাকা হাতিয়ে নেন চক্রের সদস্যরা।

সিএনএস লিমিটেড বলছে, তাদের ওয়েবসাইটে লেনদেনের পেমেন্ট স্ট্যাটাস পেইড দেখালেও মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা জমা হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিএনএস লিমিটেড ্যাব-এর কাছে  লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। তারা দাবি করে, তাদের ওয়েবসাইট অথবা পেমেন্ট গেটওয়ে হ্যাক করে এই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।

সিএনএসের ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ্যাব-এর একটি দল রাজধানীর মিরপুর, কাফরুল গাজীপুর সদর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সিপিইউ, মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, পেনড্রাইভ, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই অন্যান্য সরঞ্জামসহ নগদ লাখ ৮৯ হাজার ৬৫৯ টাকা উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে ্যাব।

কমান্ডার মঈন বলেন, সিএনএস লিমিটেড বাংলাদেশ কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সার্ভিস মিরপুরের একটি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কোম্পানির সফটওয়্যার এবং প্রযুক্তিবিষয়ক কাজ করে।

প্রতিষ্ঠানটি বিআরটিএর সঙ্গে  ১০ থেকে ১১ বছর ধরে চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে বিভিন্ন গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন, ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ফি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ফি বিভিন্ন ব্যাংক এবং অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করে। বিআরটিএতে হস্তান্তরের মাধ্যমে যাবতীয় লেনদেনের কার্যাবলি সম্পাদন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

২০২২ সালের নভেম্বর, ডিসেম্বর এবং বছরের জানুয়ারি মাসে চক্রটি ডেসকো কোম্পানির ওয়েবসাইট হ্যাক করে লেনদেনের আইডি তৈরি করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ করেছে ্যাব।