স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণায় উত্তর কোরিয়ার সতর্ক অবস্থানে জাপান

প্রকাশকালঃ ২৯ মে ২০২৩ ০১:৩০ অপরাহ্ণ ৬৯ বার পঠিত
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণায় উত্তর কোরিয়ার  সতর্ক অবস্থানে জাপান

ত্তর কোরিয়ার গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ঘোষণায় এবার সতর্ক অবস্থানে জাপান।  ৩১ মে থেকে ১১ জুনের মধ্যে পিয়ংইয়ংয়ের এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের কথা রয়েছে। এ নিয়ে টোকিও তার প্রতিক্রিয়ায় সোমবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলেছে। টোকিও সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এ অঞ্চলকে হুমকির মুখে ফেলবে এমন কর্মকাণ্ড শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।

জাপানের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের ভূখন্ডে যদি উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এসে পড়ে, তাহলে এর কড়া জবাব দেওয়া হবে। নিয়ম লঙ্ঘন করে উত্তর কোরিয়া যদি এমন কর্মকাণ্ড চালায়, তাহলে তারাও হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। পালটা ব্যবস্থা তারাও গ্রহণ করবে। দেশটির মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিরোকাজু মাতসুনো বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার যে কোনো উৎক্ষেপণ, এমনকি যদি স্যাটেলাইটও উৎক্ষেপণ করা হয়, তাহলে জাপানি নাগরিকদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করবে। 

সরকারের ধারণা যে, স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হবে তা তাদের দেশের ওপর দিয়ে যাবে। সে ধরনের কিছু ঘটলে তারা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাবে। 


উত্তর কোরিয়া জাপানের উপকূলরক্ষীকে পরিকল্পিত উৎক্ষেপণের বিষয়ে জানানোর পর নিয়মিত ব্রিফিংয়ে হিরোকাজু মাতসুনো বলেন, ‘স্যাটেলাইটটির আমাদের দেশের ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে’।

বিশ্লেষকরা বলছেন, স্যাটেলাইটটি একটি নজরদারি প্রযুক্তি কর্মসূচির অংশ। এর মধ্যে রয়েছে ড্রোন; যা যুদ্ধক্ষেত্রে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। উত্তর কোরিয়া সাম্প্রতিক সময়ে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিকসহ একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এ বিষয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, উত্তর কোরিয়ার যে কোনো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কার্যকলাপের নিন্দা প্রস্তাবের গুরুতর লঙ্ঘন হবে। 

তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে উত্তর কোরিয়াকে উৎক্ষেপণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করছি’। এর আগে পারমাণবিক শক্তিধর উত্তর কোরিয়া বলেছিল, তারা তাদের প্রথম সামরিক গুপ্তচর স্যাটেলাইটের নির্মাণকাজ শেষ করেছে। দেশটির শাসক কিম জং উন তা উৎক্ষেপণের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতির অনুমোদন দিয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন যে, একটি সামরিক উপগ্রহ উত্তর কোরিয়ার নজরদারি ক্ষমতা বাড়াবে এবং যুদ্ধের ক্ষেত্রে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।