ঈদ কে সামনে রেখে চারঘাট উপজেলা কৃষি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব দেখার কেউ নেই।।

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ২৮ মার্চ ২০২৫ ১২:৫৯ অপরাহ্ণ   |   ৯৩ বার পঠিত
ঈদ কে সামনে রেখে চারঘাট  উপজেলা কৃষি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব দেখার কেউ নেই।।

চারঘাট (রাজশাহী) সংবাদদাতা:-

 

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার প্রত্যান্ত  গ্রাম অঞ্চলে কৃষি জমি থেকে মাটি বাণিজ্যে তুঙ্গে উঠেছে। দেখার কেউ নেই। এসব জমির মাটি অবৈধ ট্রাক্টর ও ড্রাম ট্রাক দিয়ে বহন করে ইট ভাটাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হচ্ছে। এতে করে রাস্তা ঘাট ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে কতিপয় বিএনপি নামধারী নেতা ও আওয়ামী লীগের যোগ সাজসে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে গোপন চুক্তিতে সন্ধার পর থেকে  অবৈধ এই ব্যবসায় হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আর দিনদিন ফসলের জমি হারাচ্ছে কৃষকরা।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপজেলার  ভায়ালক্ষীপুর ,নিমপাড়া , চারঘাট  সারদা,ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় রাত হলেই বিভিন্ন জায়গায় কৃষি জমির মাটি কাটার মহোৎসব মেতে ওঠেছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা।

এরমধ্যে ভায়ালক্ষীপুর  ইউনিয়নের বুদির হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক চাঁদ ও রানা ১০ বিঘা জমিতে পুকুর খনন করছে বেশ কয়েক ব্যক্তি এই ব্যবসায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন। এতে করে যেমন ক্ষতি হচ্ছে কৃষকের, তেমনি নষ্ট হচ্ছে কাঁচা-পাকা রাস্তা ও ধুলাবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

স্থানীয়রা বলছেন, অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীরা দীর্ঘ দিন ধরে কৃষি জমি থেকে মাটি তুলে অন্যত্র বিক্রি করছে। প্রশাসনের তদারকির অভাবে সন্ধার পর থেকে  সমান তালে চলছে কৃষি জমির মাটি কাটার মহোৎসব। এ সংক্রান্ত আইনি বিধি নিষেধ থাকলেও কেউই তা মানছে না। ফলে প্রতিদিন একরের পর একর কৃষি জমি হারিয়ে যাচ্ছে। কেও আবার তিন ফসলি জমি অবৈধভাবে মাটি খনন করে পুকুর বানাচ্ছে। এতে যেমন জমি উর্বরশক্তি হারাচ্ছে তেমনি ফসল উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। জমি ১২ থেকে ১৪ ফুট গভীর করে ফসলি জমির মাটি কাটা হচ্ছে। তারা এমন কাণ্ড লিপ্ত থাকলেও প্রশাসন নিরবতা পালন করছে বলে ভূক্ত  ভোগিরা জানিয়েছে।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিরা  জানান, সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তায় কাদা হয়, তখন রাস্তায় চলাফেরা করতে আমাদের খুবই সমস্যা হয়, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনাও ঘটছে। এছাড়াও ধুলাবালির কারণে অসুস্থ মানুষের শ্বাস-নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।

এ বিষয়ে চারঘাট  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান,আমরা প্রতিনিয়ত তদারকি করছি এবং একটি রেগুলার মামলা দিয়েছি আরও মামলা দেওয়ার জন্য স্বাক্ষী খুজে পাচ্ছি না, ভোরের ডাক প্রতিনিধি কে স্বাক্ষী দেওয়ার জন্য বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস।