ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে তিন মাস পর আবার আমদানি শুরু হয়েছে। গত সোমবার বিকেলে এ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে একটি ট্রাকে ১০ টন পেঁয়াজ এসেছে।
আনুষঙ্গিক কাজ শেষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে পেঁয়াজ খালাস করে জেলা শহরের জগতাবাজারে পাঠানো হয়েছে। আমদানিকারক সূত্রে জানা গেছে, প্রতি টন পেঁয়াজের দাম পড়েছে ২৫০ মার্কিন ডলার, যা স্থানীয় মুদ্রায় ২৭ হাজার ১১৫ টাকার মতো (প্রতি ডলার ১০৮ দশমিক ৪৬ টাকা ধরে)।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারতের রপ্তানিকারক সজীব ঘোষের কাছ থেকে পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বিডিস করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী দীপঙ্কর তালুকদার ৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলেছেন। দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকায় ৫ জুন থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। দীপঙ্কর তালুকদার প্রথম ধাপে ১০ টন পেঁয়াজ এনেছেন।
বিডিস করপোরেশনের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মো. আক্তার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিডিস করপোরেশন ৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির এলসি খুলেছে। এর মধ্যে ১০ টন পেঁয়াজ এসেছে। গতকাল এই পেঁয়াজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জগতাবাজারে পাঠানো হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এর আগে গত বছর এ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছিল।
ব্যবসায়ীরা জানান, মূলত একটি চক্রের কারণে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ব্যবসায়ীরা আমদানি করতে আগ্রহী হন না। ওই চক্রের কারণে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের মাধ্যমে বেশি ভাড়ায় ট্রাক নিতে হয়। ফলে ব্যবসায়ীরা এ বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বিডিএস করপোরেশনের খোলা এলসি অনুযায়ী ধাপে ধাপে বাকি পেঁয়াজ দেশে এসে পৌঁছাবে। তিনি বলেন, আমদানি পণ্য থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত হারে শুল্ক এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন মাশুল পাবে। যেমন ১০ টন পেঁয়াজ আমদানির বিপরীতে বন্দর কর্তৃপক্ষ ২ হাজার ৩০০ টাকা মাশুল পেয়েছে।
এদিকে পেঁয়াজ আমদানির মধ্য দিয়ে তিন মাস বন্ধ থাকা আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবার আমদানি বাণিজ্য সচল হলো।