এক দিনের ব্যবধানে আজ বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এবং সেই সঙ্গে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা তিন থেকে প্রায় চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির কারণেই তাপমাত্রা কমেছে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা। তবে রাজধানীতে যে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে, তাতে অস্বস্তি কাটেনি, বরং বেড়েছে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, কাল শুক্রবার রাজধানীতে বৃষ্টি বাড়তে পারে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে গত ২৮ মে থেকে তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে শুরু করে। গতকাল পর্যন্ত টানা ১১ দিন বিভিন্ন এলাকায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। গতকালও রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এই তাপপ্রবাহের পাশাপাশি কিছু এলাকায় বৃষ্টির কথাও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ এই বৃষ্টির কারণেই তাপপ্রবাহ কমে গেছে অনেক স্থানে। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল রাজশাহীতে—৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপ কমেছে রাজধানীতেও। আজ রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল তা ছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ রাজধানীর আকাশ সকাল থেকেই মেঘলা। গতকালও মেঘলা ছিল। তবে কাল এর ফাঁকে রোদ উঠেছিল। আজ কিন্তু সারা দিনই মেঘাচ্ছন্ন। সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। পুরান ঢাকা, পল্টন, মৎস্য ভবন এলাকায় বৃষ্টির পরিমাণ ছিল খানিকটা বেশি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী, এ বৃষ্টি সামান্য।
আর এ সামান্য বৃষ্টি বাড়িয়েছে অস্বস্তি। একটা ভ্যাপসা ভাব। এর কারণ প্রসঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক আজ প্রথম আলোকে বলেন, অন্তত তিন কারণে অস্বস্তি বেড়েছে। প্রথম কারণ হলো, যে প্রচণ্ড তাপ সৃষ্টি হয়েছিল, তা দূর করতে রাজধানীতে পর্যাপ্ত বৃষ্টি এখনো হয়নি। দ্বিতীয় কারণ, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি। এতে অস্বস্তি বেড়েছে। তৃতীয় কারণ হলো, আকাশ মেঘলা থাকার কারণে ভূপৃষ্ঠের তপ্ত হাওয়া বেরিয়ে যেতে পারছে না।
তবে আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেছেন, কাল শুক্রবার বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা বাড়তে পারে। আর তাতে স্বস্তির ভাব আসতে পারে কিছুটা।