প্রকাশকালঃ
০৬ জুন ২০২৪ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ ৬৪২ বার পঠিত
রেলমন্ত্রীর আশ্বাসের এক মাস পেরিয়ে গেলেও ফরিদপুরে স্টপেজ (যাত্রাবিরতি) না হওয়ায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজবাড়ীগামী ‘চন্দনা কমিউটার ট্রেন’ রাতে আটকে দিয়েছে ফরিদপুরের সর্বস্তরের জনগণ।বুধবার (৫ জুন) রাত ৯টা থেকে ৯টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ফরিদপুর রেলস্টেশনে চন্দনা কমিউটার ট্রেনটি থামিয়ে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।
এসময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, আমরা এর আগে ফরিদপুরে চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে কয়েক দফা আন্দোলন করি। এর প্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী জুন মাসের শুরুতে চন্দনা কমিউটার ট্রেন ফরিদপুরে যাত্রাবিরতির প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে মন্ত্রী সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করেননি। এ সময় মন্ত্রীর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষোভকারীরা। খবর পেয়ে কোতয়ালী থানার ওসি মো. হাসানুজ্জামানের নেতৃত্ব পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভকারীরা ট্রেনটি ছেড়ে দেন।
এর আগে একই দাবিতে গত ৫ মে ট্রেন চালুর দিন মানববন্ধন ও ১১ মে স্টপেজের দাবিতে কাফনের কাপড় শরীরে জড়িয়ে রেললাইনে শুয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ফরিদপুরবাসী। এ প্রেক্ষিতে রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম ফরিদপুরের ভাঙ্গার একটি অনুষ্ঠানে জুন মাসের শুরুতে ফরিদপুরে স্টপেজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবরার নাদিম বলেন, বর্তমান সরকারের সাফল্যের আরেকটি নতুন অধ্যায় রাজবাড়ী থেকে ভাঙ্গা হয়ে ঢাকার সঙ্গে নতুন দুটি কমিউটার ট্রেন চালু। তবে অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো, ফরিদপুরের ওপর দিয়ে গেলেও ফরিদপুর রেলস্টেশনে কোনো স্টপেজ রাখা হয়নি। এতে ফরিদপুরের যাত্রীরা সুলভে ঢাকার সঙ্গে যাতায়াতের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা কয়েক দফা আন্দোলনের পর রেলমন্ত্রী জুন মাসের শুরুতে ফরিদপুর স্টপেজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কথা রাখেনি। আমরা রেলমন্ত্রীর কাছে অনতিবিলম্বে ফরিদপুর রেলস্টেশনে এই চন্দনা কমিউটার ট্রেনের স্টপেজের দাবি জানাই। শিগগিরই স্টপেজ দেওয়ার ব্যবস্থা করা না হলে ফের লাগাতার কর্মসূচি শুরু করা হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, এই রেলপথ দিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস, সুন্দরবন, রাজশাহী ও নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস চলাচল করে। চারটি ট্রেনেরই ফরিদপুরে যাত্রাবিরতি রয়েছে। কিন্তু চন্দনা কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতি ফরিদপুর রেলস্টেশনে না থাকায় এই বিক্ষোভ করে আসছে ফরিদপুরের সর্বস্তরের জনগণ।