গাইবান্ধা প্রতিনিধি:-
‘ডিম পাড়ে হাঁস, খায় বাগডাশে’ এই প্রবাদ যেন হুবহু মিলছে গাইবান্ধা জেলা পরিষদের কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে। ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সরকারি কোষাগার থেকে প্রায় ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও এখনো পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটি গঠন হয়নি।
গাইবান্ধা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস মুঠোফোনে জানান, “অভিযোগটি এখনো প্রসেসিংয়ে আছে, ফাইল পুটাপ হয়েছে।
অথচ, গত ৩ জুলাই গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জাভেদ হোসেন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, জেলা পরিষদের অফিস সহকারী ইসমাইল হোসেন বেআইনিভাবে হিসাবরক্ষকের দায়িত্ব দখল করে দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া প্রকল্পের নামে সরকারি অর্থ লুট করছেন।
১৯টি চেকের মাধ্যমে অজানা খাতে ৪,৪৭,৫০০ টাকা ব্যয়ের বিষয়টি বিশেষভাবে প্রশ্নবিদ্ধ।
অন্যদিকে অভিযোগ উত্থাপনের আট দিন পার হলেও এখনো পর্যন্ত জেলা প্রশাসক কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি এ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে ব্যাপক প্রশ্ন। এমনকি জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তাও জেলা প্রশাসক বিষয়টি জানেন কি না, সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেননি।
এমন অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, দুর্নীতির এমন বিস্ফোরক অভিযোগের পরও জেলা প্রশাসন কেন নীরব? আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে সুষ্ঠু তদন্ত আর জবাবদিহিতার জন্য?