ঢাকা প্রেস, স্টাফ রিপোর্টার (চাঁদপুর):-
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় এক যুবতীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয়রা হতবাক। রোববার (৩ নভেম্বর) সকালে উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা গ্রামের রাঢ়ি বাড়ি থেকে আসমা আক্তার (২০) নামে ওই গৃহবধূর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আসমা মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. মাসুমের স্ত্রী এবং একই উপজেলার চরমথুরা গ্রামের খান বাড়ির মৃত হাফেজ খানের মেয়ে। তাদের এক বছরের একটি সন্তান রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে মাসুমের সঙ্গে আসমার বিয়ে হয়েছিল। স্বামী প্রবাসে থাকায় আসমা শ্বশুর-শাশুড়ি ও দুই দেবরের সঙ্গে থাকতেন। তিনি মোবাইলে টিকটক দেখতে খুব পছন্দ করতেন।
শনিবার রাতে সবাই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লেও, আসমা তার মোবাইল নিয়ে ঘুম থেকে উঠে টিকটক দেখছিলেন। ভোরে তার শ্বশুর বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলে পাশের আমগাছের সঙ্গে আসমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
আসমার দেবর সাইমুন জানান, আসমা টিকটকে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন এবং তিনি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন বলে পরিবারের মধ্যে অশান্তি ছিল। এই বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে কখনো কখনো ঝগড়াও হতো। আসমার মোবাইল ফোনও ভেঙে ফেলা হয়েছিল। কিন্তু কেন তিনি এমন পদক্ষেপ নিলেন, তা কেউ বুঝতে পারছেন না।
ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসমার বড় ভাই মো. রুবেল খান থানায় অপমৃত্যুর মামলা করেছেন।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরেই আসল কারণ জানা যাবে।