নওগাঁয় সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম, রকি বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা 

প্রকাশকালঃ ২১ অক্টোবর ২০২৪ ০৩:০৫ অপরাহ্ণ ৫১৮ বার পঠিত
নওগাঁয় সাংবাদিককে পিটিয়ে জখম, রকি বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা 

ঢাকা প্রেস
নওগাঁ প্রতিনিধি:-

 

সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে নওগাঁয় অনলাইন মাল্টিমিডিয়া  নিউজ পোর্টাল বার্তা২৪ ডটকম এর জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলামের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।

 

 

বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি বাদী হয়ে ওয়াহেদুর রহমান রকিকে প্রধান আসামী করে ১৯ জনের নামে নওগাঁ সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন।
 

মামলার আসামিরা হলেন-  নওগাঁ সদর উপজেলার কীর্তিপুর ইউনিয়নের শালুকার গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে ওয়াহেদুর রহমান রকি (২৭) ও তার ভাই রাজন (২২), একই গ্রামের আরিফ হোসেন (২৫), মুন্না দেওয়ান (২২), রাকিব (২৬), শাহজামান ( ২৫), নাঈম (২৩), নাহিদ ( ২৬), গ্রাম ডাক্তার ভুট্টু সহ রকি বাহিনীর অন্যান্য সদস্য।
 

সদর মডেল থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মেজবাহ হোসেন বলেন, ঘটনাটি জানার পর পুলিশ পাঠিয়ে সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে উদ্ধার করা হয়েছিলো। এই বিষয়ে একটি এজাহার দিয়েছেন ভুক্তভোগী। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  ঘটনাটি ঘটেছে নওগাঁ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে।
 

নব মুসলিম অমিত হাসানের পরিবারকে বেশকিছু ধরে স্থানীয় ইউপি মেম্বার রেজাউল হকের ছেলে মাস্তান বাহিনী ওয়াহেদুর রহমান রকির নেতৃত্বে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ১২ টা ৩০ মিনিটের  দিকে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম ও সাংবাদিক একেএম জাহিদুল হক মিন্টু ওই এলাকায় গিয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের বক্তব্য ক্যামেরায় ধারণ করায় সময় মাস্তান বাহিনী রকি সহ তার লোকজন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে আছাড় দিয়ে ভেঙে ফেলে। এসময় শহিদুল ইসলামকে এলোপাতারি মারধোর করে প্রায় ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। তবে অবস্থা খারাপ হবে দেখে সাংবাদিক একেএম জাহিদুল হক মিন্টু ঘটনাস্থল থেকে আগেই চলে আসে।

সংবাদ পেয়ে নওগাঁ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ থানা পুলিশের সহযোগিতায় সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম কে উদ্ধার করে। তার শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় চিকিৎসার জন্য নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ। হামলার ঘটনায় বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সেই সাথে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবী জানানো হয়।