বদলে গেছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নাম

প্রকাশকালঃ ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৩:৫৫ অপরাহ্ণ ০ বার পঠিত
বদলে গেছে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নাম

ঢাকা প্রেস নিউজ

 

যমুনা নদীতে নির্মিত রেলসেতুর নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু রেলসেতু নামটি সরিয়ে এখন সেতুটির নতুন নামকরণ করা হয়েছে 'যমুনা রেলসেতু'। এর পূর্ব নাম ছিল 'জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলসেতু'।
 

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন, যিনি রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি জানান।
 

তিনি বলেন, "যমুনা নদীতে নির্মিত রেলসেতুর নাম এখন 'বঙ্গবন্ধু রেলসেতু' থাকবে না। এটি 'যমুনা রেলসেতু' নামেই উদ্বোধন করা হবে, যা ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে।"
 

মো. আফজাল হোসেন আরও জানান, যমুনার বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুতে বর্তমানে মিটারগেজ রেলসংযোগের অনুমতি রয়েছে সর্বোচ্চ ৪৩.৭০ কিলো-নিউটন/মিটার ওজন বহনের। এ কারণে ট্রেনে অতিরিক্ত বগি যুক্ত করার সুযোগ নেই এবং এক লাইনের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এতে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ৪.৮ কিলোমিটার সেতু পার হতে একেকটি ট্রেনের ২৫ মিনিট সময় লাগে। সেতুর ওপর এক লাইনের কারণে দুটি স্টেশনে সিগন্যালের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। ফলে মাত্র ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগে।
 

এই সমস্যার সমাধান দিতে ২০২০ সালের ৩ মার্চ বিগত সরকার বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর পাশেই ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের ৪.৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করে। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৪ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা সরকারের পক্ষ থেকে এবং বাকি ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা জাপানের জাইকা অর্থায়ন করেছে।
 

প্রকল্পের কাজ দুটি প্যাকেজে বাস্তবায়ন করছে জাপানি পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ডব্লিউডি-১ প্যাকেজের কাজ করছে জাপানি প্রতিষ্ঠান ওবাইসি, টোআ করপোরেশন এবং জেইসি জয়েন্ট ভেঞ্চার। সেতুর উভয় প্রান্তের স্টেশনে সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনে কাজ করছে ইয়াশিমা নামক প্রতিষ্ঠান।
 

নতুন সেতুর বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান জানিয়েছেন, নতুন রেলসেতু দিয়ে ব্রডগেজ ট্রেন ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার এবং মিটারগেজ ট্রেন ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করবে। সিবিআইএসের কাজ ৪০ শতাংশ এগিয়েছে, তবে সেতু চালু হওয়ার পর আরও দুই থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে সিবিআইএস চালু করতে।
 

যমুনার পুরোনো সেতু দিয়ে বর্তমানে দৈনিক ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। নতুন সেতু চালু হলে আন্তঃনগর, লোকাল, কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনসহ ৮৮টি ট্রেন চলাচল করবে। তবে, রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, ইঞ্জিন সংকটের কারণে নতুন ট্রেন চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে, রাষ্ট্রপতির অনুরোধে পাবনাবাসীর জন্য নতুন ট্রেন চালুর বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।