খাগড়াছড়িতে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় চারজন গ্রেফতার

  প্রিন্ট করুন   প্রকাশকালঃ ১৭ জুলাই ২০২৫ ০২:৪৭ অপরাহ্ণ   |   ১৮১ বার পঠিত
খাগড়াছড়িতে কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় চারজন গ্রেফতার

মোহাম্মদ করিম, বিশেষ প্রতিনিধি:-


 

খাগড়াছড়িতে ১৪ বছরের কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ১২টার দিকে ওই মেয়ের বাবা বাদী হয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলা হওয়ার পরপরই অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আরমান হোসেন (৩২), সদস্য ইমন হোসেন (২৫) ও এনায়েত হোসেন (৩৫) এবং শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন (৩২)। মামলার বাকি দুই আসামি হলেন একটি ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মুনির ইসলাম (২৯) ও ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহেল ইসলাম (২৩)। তাঁরা পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে।

তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের কর্মী নয় বলে দাবি করেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আবছার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ছয়জন আমাদের কোনো কর্মী বা নেতা নয়। অপরাধী যে দলের হোক না কেন, এর বিচার হওয়া উচিত। আমি এবং আমাদের জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এ ঘটনার সুষ্ঠু ও সঠিক বিচার চাই।’

ভুক্তভোগী কিশোরী বর্তমানে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুন রথযাত্রার মেলায় অংশ নেওয়ার পর রাতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল ওই কিশোরী। সেখানে গভীর রাতে ছয়জন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ছাত্রীর আত্মীয়কে বেঁধে রাখা হয়েছিল।

ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা বলেন, সামাজিক লজ্জা ও ভয়ভীতির কারণে ওই ছাত্রী প্রথমে পরিবারকে কিছু জানায়নি। তবে এ ঘটনায় মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে গত শনিবার বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল মেয়েটি। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মেয়েটি পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায়।

জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রিপল বাপ্পি চাকমা বলেন, কিশোরী শিক্ষার্থীর অবস্থা গুরুতর। সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরোফিন জুয়েল প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থীর বাবার মামলার পরপরই চার আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।