ঢাকা প্রেস-নিউজ ডেস্ক:-
দেশের কৃষিখাতকে টেকসই করতে হলে , ঔষুধ শিল্পের মতো বালাইনাশক খাতের দেশীয় উৎপাদকেদের অগ্ৰাধিকার দিতে আহ্বান জানিয়েছেন বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী এবং সংশ্লিষ্টরা। শনিবার রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমাতে আমদানি বিকল্প দেশীয় বালাইনাশক উৎপাদকদের বাঁধা ও চ্যালেঞ্জ শীর্ষক এক কর্মশালায় বক্তারা এ দাবি জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নাহিদ আফরোজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব ড. জাকির হোসেন, অনুজীব বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
কর্মশালায় গবেষণা ফলাফল উপস্থাপন করেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল করিম, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়ার বেসরকারি খ্যাত বিশেষজ্ঞ মজিবুল হক ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোর এর বিশেষ প্রতিনিধি ফয়জুল সিদ্দিকী। গবেষণায় বলা হয়, কাঁচামালের সিঙ্গেল সোর্স জটিলতা, কাঁচামাল উৎপাদন নীতিমালার অভাব, বেআইনি ভাবে প্যাটেন্ট পণ্যে মনোপলি, বন্দর থেকে কাঁচামাল খালাশে জটিলতা এবং উন্নয়ন অবকাঠামো নির্মাণে সময়সীমার অভাব থাকা আমদানি বিকল্প দেশীয় বালাইনাশক উৎপাদকরা টিকতে পারছে না। তাই সিঙ্গেল সোর্স প্রথা বাতিল, প্যাটেন্ট আইন ও ফোর্স লাইসেন্সিং কার্যকরী ,পিটাক পুনর্গঠন, কাঁচামাল আমদানিতে এনওসি বাতিলের সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও উৎপাদনে ব্যবহৃত সব সহযোগী পদার্থের শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধা প্রদান,দানি বিকল্প বালাইনাশক শিল্প রক্ষায় এফবিসিসিআই এর সুপারিশ কার্যকর করা, বালাইনাশক রপ্তানিতে বিশেষ সুবিধা ও প্রণোদনা প্রদান, কাঁচামালের বহু সোর্স সংক্রান্ত আমদানি নীতিমালা বালাইনাশকে কার্যকরে প্রদক্ষেপ নেয়া এবং বালাইনাশক উৎপাদন শিল্পকে অগ্ৰাধিকার শিল্প হিসেবে ঘোষণার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব জাকির হোসেন বলেন, যে কোনো মূল্যে বালাইনাশকে দেশকে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে হবে। এ জন্য তার সমিতি পাশে থাকবে বলে আস্থস্ত করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নাহিদ আফরোজ আশ্বস্ত করেন, এই সুপারিশ গুলো কার্যকর করা।